কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের বেহাল দশা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় ও পর্যাপ্ত আসবাবপত্রের অভাবে নষ্ট হচ্ছে অফিসের মূল্যবান কাগজপত্র। দৌলতপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসের এই চিত্র দীর্ঘদিনের। নানা প্রতিকূলতার মাঝেও অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাদের দায়িত্ব পালন করে আসলেও অফিসে পর্যাপ্ত আসবাবপত্রের অভাবে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান কাগজপত্র।
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন জানান, প্রতি মাসে দৌলতপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বিধবা, হিজরা, হরিজন সম্প্রদায় ও শিক্ষাবৃত্তি সহ বেশ কয়েক রকমের সরকারী ভাতা বাবদ প্রায় ২৭ কোটি টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে।
সরেজমিনে দৌলতপুর সমাজসেবা অফিস ঘুরে দেখা গেছে অফিসের সামনের অংশ পাকা হলেও এর বয়স প্রায় ৪০ বছরেরও বেশি। রাস্তা ছাড়া ঘরের মেঝে প্রায় ২ ফুট নিচু হয়ে গেছে। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি ঘরের ভিররে প্রবেশ করে জলাশয়ে পরিণত হয়। অফিসের পিছনের অংশ একটি টিন সেড গোডাউন, উপরে জরাজীর্ন টিন, বৃষ্টি হলে জরার্জীন ফুটো টিন দিয়ে পানি পড়ে মেঝেতে জমে থাকে। এছাড়াও বৃষ্টির পানিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিজে যায়। বৃষ্টি হলে অফিসের মেঝেতে জমে থাকা পানি পাতিল দিয়ে নিষ্কাশন করতে হয়। অফিসের অতিগুরুত্বপূর্ন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রাখার তেমন কোন জায়গা নেই। যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কাগজপত্র। পুরাতন কয়েকটি আলমিরা থাকলেও সেগুলোও মূল্যবান কাগজপত্র রাখার জন্য যথেষ্ট নয় এবং অনিরাপদ। পুরাতন কয়টা চেয়ার থাকলেও সেগুলোর অধিকাংশের হাতল ভাঙ্গা।
অফিসে পিয়ন ও অফিস সহকারীসহ প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে প্রতি নিয়ত মানুষ অফিসে গিয়ে পাচ্ছেন না কাঙ্খিত সেবা। অফিসটির অবস্থা দেখে মনে হয় অন্যের সেবা করতে গিয়ে অফিসটি নিজেই সেবা চাচ্ছে। দৌলতপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসে সেবা নিতে আসা সেবাপ্রত্যাশীদের দাবি উপজেলা সমাজসেবা অফিসের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সার্বিক উন্নয়নে যথাযথ কতৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।