কুষ্টিয়া সীমান্তবর্তী দৌলতপুর উপজেলায় মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসনে হাজার হাজার মেধাবী ছাত্র ধ্বংস হচ্ছে। আগামী প্রজন্মের মেধা বিকাশ ও ক্যারিয়ার গঠন নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সচেতন মহল।
মাদক হাতের নাগালে সহজ লভ্য হওয়ায় ছাত্র শিক্ষক একসাথে এক টেবিলে বসে গাঁজা খাওয়ার দৃশ্য অহরহ চোখে পড়ছে। এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে দৌলতপুর খুচরা মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্ত ব্যক্তি অধিকাংশই উচ্চ শিক্ষিত, সমাজে তাদের স্ট্যাটাস রয়েছে। মাদকের ডিলাররা অপেক্ষাকৃত কম শিক্ষিত।
দৌলতপুরে আধুনিকতার নামে চলছে ইয়াবা সেবন। সন্ধ্যার পরে খেলার মাঠে আডডা দিতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন অনেকে। পাশেই চলছে মাদক সেবন। পুলিশ ও বিজিবির অভিযানে একাধিক শিক্ষক শ্রেণীর মাদক ব্যবসায়ী ধৃত হন। সিগারেটের মধ্যে গাঁজা ঢুকিয়ে খাওয়ার প্রবনতা বাড়ছে উঠকি বয়সি ছেলেদেরে মাঝে।
ধুমপায়ী শিক্ষার্থীদের সংস্পর্শে এসে নষ্ট হচ্ছে ভাল ছাত্ররা। এধারা অব্যাহত থাকলে দৌলতপুর হবে হিরোসিমা, নাগাসাকি। সব ধরনের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব। কিন্তু গাঁজার আগুনে পুড়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতিভা পুড়ে ছাই হচ্ছে। জাতি এই ক্ষতি কিভাবে পূরন করবে।
মাদক পরিবহনে স্কুল ব্যাগ, ঔষধের গাড়ী ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রেমে ছ্যাকা খেয়ে মাদকের দিকে ঝুকছে শিক্ষার্থীরা, মাদকমুক্ত বিদ্যালয় এখন সময়ের দাবী। সরেজমিনে দেখা গেছে অনেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় দপ্তরে বসে প্রকাশ্যে সিগারেট খান। নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক জানান, ইবাদত খানা, হাসপাতাল, বিদ্যালয় অবশ্যই ধুমপান মুক্ত হতে হবে।
সেলিম রেজা বাচ্চু
কুষ্টিয়া