কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা দিতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
অনলাইনে যশোর বোর্ডের সার্ভারে সকাল সাড়ে ৮টার পর প্রশ্ন দেওয়া হলে তা ডাউনলোড করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে ফটোকপি করা হয়। দৌলতপুরের প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফটোকপি মেশিন না থাকায় বোর্ডের প্রশ্ন সার্ভার থেকে ডাউনলোড করে বিভিন্ন বাজারে গিয়ে ফটোকপি করে পরীক্ষা শুরু করতে বেলা ১১টা পার হয়ে যায়। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পড়ে চরম বিপাকে।
সকাল ১০টার পরীক্ষা ১১টা বা তার পরে শুরু হলে শিক্ষার্থীদের হৈচৈ আর ঠেলাঠেলিতে পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবশে বিঘিœত হয়। সেই সাথে নষ্ট হয় শিক্ষার পরিবেশ। এছাড়াও বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ফটোকপির দোকান থেকে প্রশ্ন ফটোকপি করতে গেলে সেখান থেকে অনেক সময় প্রশ্ন ফাঁস হয়ে মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থীদের নিকট পৌঁছে যায়। এছাড়াও দূর্গম চরাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সবচেয়ে বেশী সমস্যার সন্মুখীন হয়।
চরাঞ্চলে বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায় প্রশ্ন ফটোকপি করতে তাদের বালির ভেতর কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে অন্যত্র প্রশ্ন ফটোকপি করে পরীক্ষা নিতে হয়। তাছাড়ও অনেক সময় গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ না থাকলে প্রশ্ন ফটোকপি করাও সময়সাপেক্ষ হয়ে পড়ে। এতে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ার মনোবল যেমন নষ্ট হয় এবং পরীক্ষা নিতে গিয়ে শিক্ষকবৃন্দ মানষিক সমস্যায় ভুগেন। তাই বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য এবং সুবিবেচনার জন্য বোর্ড কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ ও ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
উপজেলার বিভিন্ন হাইস্কুলে গিয়ে দেখা যায় বেলা ১১টার পরও অনেক স্কুল পরীক্ষা শুরু করতে পারেনি। মহিষকুন্ডি হাইস্কুলের এক শিক্ষক জানান, যশোর বোর্ডের সার্ভার থেকে প্রশ্ন ডাউনলোড করে ফটোকপির পর পরীক্ষা শুরু করতে প্রতিদিনই বেলা ১১টা পার হয়ে যায়। তিনি এ পদ্ধতির আরও আধুনিকীকরণ করার দাবি জানান। একই অভিযোগ দূর্গম চিলমারী চরের বিভিন্ন হাইস্কুলের শিক্ষকসহ দৌলতপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের।