কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পুলিশ হেফাজত থেকে হ্যান্ডকাফসহ ২ মাদকসেবী পালানোর পর ৪ঘন্টা পর ১জন হ্যান্ডকাফসহ উদ্ধার হয়েছে। অপরজন পলাতক রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার মহিষকুন্ডি ডাকপাড়া এলাকা থেকে মাদক সেবন অবস্থায় ২ জন মাদক সেবীসহ ৩ জনকে আটক করে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তাদের থানায় নেওয়ার সময় হ্যান্ডকাফসহ ২ জন পালিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যার সময় ১ জনকে উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুন্ডি ডাকপাড়া গ্রামের মৃত তুফান হালসানার ছেলে মাদক ব্যবসায়ী সুমন হালসানার বাড়িতে গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সেফুল (২৬) ও কনক (২৫) নামে মাদক সেবী দু’যুবক ইয়াবা সেবন করছিল। মাদক সেবীদের মাদক সেবনের খবর পেয়ে দৌলতপুর থানার এস আই খসরু মাদক ব্যবসায়ী সুমন হালসানার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদক সেবী সেফুল ও কনক এবং মাদক ব্যবসায়ী সুমন হালসানাকে আটক করে।
পরে সেফুল ও কনকের হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে এবং মাদক ব্যবসায়ী সুমন হালসানাকে বিনা হ্যান্ডকাফে ভ্যানে উঠিয়ে দৌলতপুর থানায় নেওয়ার পথে মোটরসাইকেল নিয়ে এস আই খসরু পেছন পড়েন। এসময় মহিষকুন্ডি বাজারে ভ্যান থেকে লাফ দিয়ে হ্যান্ডকাফসহ মাদক সেবী সেফুল ও কনক পালিয়ে যায়। তবে মাদক ব্যবসায়ী সুমন হালসানা পুলিশ হেফাজতে রয়ে যায়। পরে সন্ধ্যায় সেফুলের পরিবার সেফুলকে হ্যান্ডকাফসহ এস আই খসরুর হাতে সোপর্দ করে। তবে দৌলতপুরের মাদক সেবী কনক পলাতক রয়েছে।
উদ্ধার সেফুল মহিষকুন্ডি ক্যাম্পের পেছন এলাকার মোস্তফার ছেলে।
হ্যান্ডকাফসহ মাদক সেবী পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দৌলতপুর থানার এস আই খসরু বলেন, ৩জন মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীকে আটক করে থানায় নেওয়ার পথে হ্যান্ডকাফসহ ২জন পালিয়ে যায়। তাদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে একজনকে হ্যানকাফসহ উদ্ধার করা হয়। সেফুল ও মাদক ব্যবসায়ী সুম হালসানাকে থানা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।