আলমডাঙ্গার হাঁটুভাঙ্গা গ্রামের বাটপার হিসেবে পরিচিত আসমত আলী এবার কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরের এক পুলিশ কনসটেবলের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে এসে বিপাকে পড়েছে। পরকীয়া প্রেমিকাকে কৌশলে তার ভাই পুলিশের সহযোগিতায় আটক করে বাড়ি নিয়ে গেলেও পুলিশ এখন বাটপার আসমত আলীকে হন্যে হয়ে খুঁজছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার হাঁটুভাঙ্গা গ্রামের আবুছদ্দীন আবুর ছেলে এক সন্তানের জনক আসমত আলী (৩২) সম্প্রতি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর শহরের পুলিশ কনসটেবল আব্দুস সালামের স্ত্রী ২ সন্তানের মা ফিরোজা খাতুনের সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। এক পর্যায়ে গত ১৫/১৬ দিন পূর্বে ফিরোজা খাতুনকে ভাগিয়ে নিয়ে যায় সে। এ ঘটনায় পুলিশ কনসটেবল আব্দুস সালাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
এদিকে, আসমত আলী ফিরোজা খাতুনকে বিয়ে করে আলমডাঙ্গা শহরের বাবুপাড়ায় বাসা ভাড়া করে বসবাস শুরু করে। মোবাইলফোন ট্যাপ করে পুলিশ তাদের অবস্থান বের করে। গতকাল দুপুরে এ পরকীয়া জুটিকে আটক করতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের সহযোগিতায় ফিরোজা খাতুনের ভাই যিনি সেনাবাহিনীতে চাকুরী করেন, তিনি কৌশলের আশ্রয় নেন। ওই সেনা সদস্য আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত হয়ে তার বোন ফিরোজা খাতুনকে রিং দিয়ে বলেন যে তিনি খুব বিপদে পড়েছেন। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তাকে আটকে রেখেছে। ফিরোজা খাতুন যেন তাড়াতাড়ি থানায় যায়। ভাইয়ের এমন বিপদের কথা শুনে ফিরোজা খাতুন দ্রুত থানায় ছুটে গেলে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ তাকে আটক করে তার ভাইয়ের জিম্মায় তুলে দিয়েছেন। এখন বিপাকে পড়েছে আসমত আলী। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ও দৌলতপুর থানা পুলিশ প্রেমিক প্রবর আসমত আলীকে গ্রেফতারের জন্য হন্যে হওঁয়ে খুঁজছে।
এদিকে, গ্রামসূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আসমত আলী বাটপার হিসেবে পরিচিত। এক সন্তানের জনক আসমত আলী কয়েক বছর আগে হাটবোয়ালিয়া বাজারে মসজিদের পাশে ফলের দোকান দিয়েছিল। কয়েক মাসের ভেতর মিষ্টভাষী আসমত আলী কয়েকজন ঘনিষ্ঠ মানুষের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে হাটবোয়ালিয়া বাজার থেকে পালিয়ে যায়। পরে নিজের বাড়ির পারিবারিক দোকানে কয়েক মাস ব্যবসা করত। ব্যবসার টাকা নয়-ছয় করার কারণে সে ব্যবসা থেকে তাকে বিতাড়িত করা হয়েছে।
গ্রামবাসিরা জানায়, বাটপার আসমত আলী শুধু বিবাহিতই না, এক কন্যাসন্তানের জনক। কন্যাশিশুটি ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। বাটপারের অত্যাচারে শিশুকন্যাসহ তার স্ত্রী ঘর ছেড়ে দীর্ঘদিন বাপের বাড়িতে অবস্থান করেন। বাটপার আসমত আলী এনজিও’র চাকুরী করে বলে দাবি করে ইতোপূর্বে কুষ্টিয়া এলাকায় এক পরস্ত্রীর সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলে। কয়েক মাস আগে হঠাত সেই মেয়ে তার বাড়িতে উপস্থিত হলে বিপদ বুঝে বাটপার পালিয়ে যায়। কয়েক মাস যেতে না যেতেই এবার দৌলতপুরের পুলিশ কনসটেবলের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে এসেছে।