কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে তালাকপ্রাপ্তা এক নারী কে ধর্ষণের অভিযোগে ক্লিনিক মালিক আনোয়ারুল আজিম (৪৮) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে দৌলতপুর হাসপাতাল এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার (৫ জুলাই) ‘ধর্ষিত’ নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, দৌলতপুর হাসপাতাল রোডের আলহাজ ক্লিনিকের মালিক আনোয়ারুল আজিম ও অপর এক ব্যক্তি গত কয়েকদিন আগে পাশের এলাকার এক ডিভোর্সি নারীকে ক্লিনিকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। মামলার পর রাতেই অভিযুক্ত আসামি আনোয়ারুল আজিমকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্ত হাজি আনোয়ারুল আজিমকে আদালতের মাধ্যমে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ‘ধর্ষিত’ নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের নির্দিষ্ট বিভাগে পাঠিয়েছে পুলিশ।
দৌলতপুর থানার ওসি এসএম আরিফুর রহমান জানান, ডিভোর্সিকে একা পেয়ে ক্লিনিক মালিক আজিম তার এক সহযোগিকে নিয়ে ধর্ষণ করেছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের স্বার্থে অপর আসামির নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
মামলাটি উদ্দেশ্যমূলক ছিল কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার মামলার বাদীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দায়ের করা মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে উপজেলা বিএনপির নেতা হাজি আনোয়ারুল আজিমের পরিবার বলছেন, ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য তাকে এই সাজানো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে আজিমের পরিবার।