কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় দুদল ডাকাত ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখি গোলাগুলির ঘটনায় দুই ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ । সোমবার গভীর রাতে উপজেলার আদাবাড়িয়া-ডাংমড়কা সড়কের পার্শ্ববর্তী মাঠে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের গরুড়া গ্রামের মসের উদ্দিনের ছেলে মোফাজ্জেল হোসেন ওরফে মুফা (৪২) ও পার্শ্ববর্তী মথুরাপুর ইউনিয়নের কৈপাল গ্রামের আব্দুর রহহমানের ছেলে মাহাবুল ইসলাম। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার আদাবাড়িয়া এলাকায় সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে দুই দল ডাকাত নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে গোলাগুলিতে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার খবর পেয়ে দৌলতপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সাইফুল ইসলাম পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ফোর্স নিয়ে সেখানে অভিযান চালান। এ সময় পুলিশ ডাকাত দলের সদস্যদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। ডাকাতরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে দুদল ডাকাত ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখি বন্দুকযুদ্ধ বেধে যায়। গোলাগুলির একপর্যায়ে ডাকাত দলের দুপক্ষের দুই সদস্য মোফাজ্জেল হোসেন ওরফে মুফা ও মাহাবুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় বেগতিক অবস্থা দেখে দুই পক্ষের ডাকাত সদস্যরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ গুলিবিদ্ধ দুজনকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে দৌলতপুর হাসপাতালে নেয়। এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় দৌলতপুর থানার এএসআই আসাদুল ইসলাম আসাদ ও কনস্টেবল জিয়াউর রহহমান আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশ।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি লাইট গান (এলজি), দুই রাউন্ড বন্দুকের গুলি, দুই রাউন্ড রাইফেলের গুলি ও একটি রামদা উদ্ধার করেছে।
দৌলতপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, গোলাগুলিতে নিহতরা চিহ্নিত ডাকাত সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মামলা রয়েছে। নিহত মুফা গাংনীর পীরতলা ক্যাম্পের পুলিশ কনস্টেবল আলাউদ্দিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। এ ঘটনায় পুলিশ অর্ধশতাধিক রাউন্ড গুলি ব্যবহার করে বলে ওসি জানিয়েছেন।