আর মাত্র একদিন পরই ঈদ। তাই ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পশু হাটগুলো। প্রতিটি হাটে এখন ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় রয়েছে।
এবার উপজেলার বিভিন্ন পশুহাটে ভারতীয় গরুর আমাদানি না থাকলেও দেশী গরুর আমাদানি রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে। সেই সাথে পশুর দাম নিয়েও ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝে রয়েছে দ্বিমত। তারপরও পছন্দের পশুটি ক্রয় করতে পেরে যেমন খুশি ক্রেতারা তেমনি বিক্রয় করতে পেরেও বিক্রেতারা খুশি।
তবে পশুর খাদ্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারন দেখিয়ে বাড়িতে পশু পালনকরা কৃষকরা তাদের পশুর দাম হাকলেও ক্রেতারা সেটাকে মনে করছেন অনেক বেশী। এদিকে শনিবার দুপুরে আল্লারদর্গা পশুহাটে কোরবানীর পশু ক্রয় করতে এসে ভারতীয় গরু না আসায় এবার গরুর দাম বেশী বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. রেজাউল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, এবার কোরবানীর পশুর দাম বেশী। ভারতীয় গরু না আসার কারনে গরুর দাম বেশী। তারপরও তিনি দেশী গরুর আমদানি বেশী হওয়া সন্তোষ প্রকাশ করেন। অপরদিকে বিভিন্ন পশু হাটে অসুস্থ কোরবানীর গরু বা মহিষ বা ছাগল ক্রয় বিক্রয় করা হচ্ছে কি না তার তদারকিসহ পশুর চিকিৎসা সেবা ও জাল টাকা লেন-দেন হচ্ছে কি না তারও তদারকি করছেন দৌলতপুর প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, পশু হাটগুলোতে অসুস্থ পশু বা ষ্টেরয়েড ট্যাবলেট খাওয়ানো পশু হাটে আসছে কিনা বা জাল টাকা ব্যবহার হচ্ছে কিনা তা তদারকিসহ কোরবানীর পশু জবাই করা বিষয়ক জনসেচেতনতা মূলক বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পশু কোরবানী অপরিহার্য্য। তাই সামর্থবান ব্যক্তিবর্গ পরিবারের সদস্যদের সাথে বিভিন্ন হাটে ঘুরে ফিরে পছন্দের কোরবানীর পশুটি ক্রয় করে বাড়ি ফিরছেন ঈদের বাড়তি আনন্দ নিয়ে।
আর কোরবানীর পশু ক্রয় করাও ঈদ আনন্দের একটি অপরিহার্য অংশ বলে মনে করেন কোরবানী পশু ক্রয় করতে আসা দৌলতপুরের বাহিরমাদী গ্রামের এ্যাড. মো. হাসানুল আসকার হাসু।