দুইদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলো চোড়হাসে বাসের ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে আহত ১ বছর বয়সের শিশু আফিফা।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৫ টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।
শিশুটির মৃত্যু নিশ্চিত করে আফিফার বাবা হারুনর রশিদ কান্নায় ভেঙে পড়েন । গত ২৮ তারিখ আফিফাকে কোলে নিয়ে রাস্তুা পারাপারের সময় একটি থেমে থাকা বাসের সামনে আসলে বাসটি হর্ণ ববা কোন প্রকার সংকেত ছাড়াই বেপরোয়া ভাবে আফিফার মাকে ধাক্কা দেয়ে দ্রুত বাসটি পালিয়ে যায়। এসময় আফিফা মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুত্বর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা এসে শিশুটি ও তার মাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন সন্ধ্যায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানন্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।
গত মঙ্গলবার সকাল ১১ টা ৪৪ মিনিটে রাজশাহী থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা গঞ্জেরাজ ( ঢাকা মেট্টো-গ-১৪-০১৭৭) নামের একটি বাস এসে কুষ্টিয়া শহরতলীর চৌড়হাস মোড়ে এসে থামিয়ে রাখা ছিল। ঠিক সে সময় থেমে থাকা বাসের সামনে দিয়ে এক বছরের শিশু কন্যা আফিফা কে কোলে নিয়ে রাস্তা পারাপার হচ্ছিল মা রিনা বেগম। হটাৎ কোন হর্ণ ছাড়াই উম্মাদ চালক খোকন বাসটি চালিয়ে এসে মা রিনা বেগম কে সজোরে ধাক্কা দেয়! এতে মায়ের কোল থেকে রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে রক্তাক্ত ভাবে আহত হয় শিশু আকিফা (১)। এরই মধ্যে বাসটি দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আহত মা মেয়েকে উদ্ধার কররে নিয়ে যাওয়া হয় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে শিশুটির অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে স্থানন্তর করা হয়।
শিশু আকিফা কুষ্টিয়া শহর তলীর চৌড়হাসের সব্জি ব্যবসায়ী হারুন উর রশিদের মেয়ে। আজ সকাল ১১ টায় শিশু আকিফার ঢাকা মেডিকেলে অস্ত্রোপচার করা হয়। ভোরে শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢ্লে পড়ে।
এ দিকে ঘটনার পর গতকাল বুধবার সকাল ১১ টায় এলাকার সচেতন মহল ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কুষ্টিয়া চৌড়হাস মোড় ঘাতক গঞ্জেরাজ গাড়ির চালককে আটক করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। পাশাপাশি চৌড়হাস মোড়ে সার্বক্ষণিক ট্রাফিক, জেব্রা ক্রসিং ও ওয়ান ওয়ে সড়কের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।