ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে একের পর এক বেড়েই চলেছে চুরির ঘটনা। চোর আতঙ্কে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। বিশেষ করে উপজেলা ও পৌরবাসীর রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে সংঘবদ্ধ চোরচক্র।
উপজেলাবাসী জানতে চায় পুলিশ প্রশাসন নীরব কেন? দিনে দুপুরে মোটর সাইকেল চুরির হিড়িক পড়েছে উপজেলা জুড়ে। প্রায় শতাধিক মোটর সাইকেল চুরি হলেও কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। চোর চক্রের অন্যান্য সদস্যদের আটক করতে পারেনি হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশ। এ কারণে ক্ষোভ বেড়েছে পুলিশের উপর।
এছাড়া প্রায় প্রতি রাতেই দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটলেও অজ্ঞাত কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন।
একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটলেও কি কারণে থানায় মামলা, জিডি এমনকি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়না এ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
সম্প্রতি পৌর এলাকায় দিনে দুপুরে ও গভীর রাতে বেশ কয়েকটি বাড়ীতে অভিনব কায়দায় গ্রীল ভেঙে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় মোটরসাইকেল চুরি যেন চোরচক্রের হাতের মোয়া হয়ে দাড়িয়েছে।
সম্প্রতি উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বানাথ সাধুখাঁর ডিসকোভার মোটর সাইকেল দোকানের সামনে থেকে দিনে দুপুরে চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্র।
গাজীপুর সাতব্রীজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের স্কুল থেকে ১টা মোটরসাইকেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম টানু মল্লিকের মোটর সাইকেল, চটকাবাড়িয়া গ্রামের বেল্টুর মোটরসাইকেল, এ্যাডভোকেট কামরুল হাসান শাহিনের মোটরসাইকেল, উপজেলার শুড়া গ্রামের এক ব্যাক্তির মোটরসাইকেল পার্বতীপুর বাজার থেকে, শিশুকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মানোয়ার হোসেনের মোটর সাইেকেল, কুষ্টিয়া সদরের হরিনারায়নপুর এলাকার বিপ্লবের এ্যাপাসি আরটিআর মোটর সাইকেল ভবানীপুর মসজিদের সামনে থেকে, শিতলী গ্রামের আব্দুল খালেকের পালসার মোটর সাইকেলসহ প্রায় শতাধিক মোটর সাইকেল চুরি করে সংঘবদ্ধ চোর চক্র।
এছাড়া উপজেলা জুড়ে দিনে-রাতে একের পর এক দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে প্রশাসনের সন্তোষজনক ভূমিকা না থাকায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। চোর চক্রটিকে গ্রেপ্তার করতে পারছে না পুলিশ।
সূত্র জানায়, প্রশাসনের নাকের ডগায় উপজেলার প্রাণকেন্দ্র চটকাবাড়িয়াতে জুয়ার আসর বসলেও প্রশাসন নির্বিকার।
সম্প্রতি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় পুলিশের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন বক্তারা।
তবে হরিণাকুন্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জান জানান, চোর চক্রের বেশ কয়েকজনকে আটক করে চালান করা হয়েছে। দুইটি মোটর সাইকেল রিকভারি করা হয়েছে। চলতি মাসেই হোন্ডা চোরদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়া হবে। চোরচক্রকে ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও তিনি জানান।
সংঘবদ্ধ চোরচক্রকে চিহ্নিত পূর্বক আটক করতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।