Friday, March 29, 2024
প্রচ্ছদশিল্প ও সাহিত্যগল্প ও উপন্যাসথ্রিলার গল্পঃ "কালোছায়া" পর্ব-৪

থ্রিলার গল্পঃ “কালোছায়া” পর্ব-৪

Published on

লেখকঃ “এম এইচ নীলয়”

পর্ব-

— ম্যাডাম, অাপনার মেয়েদের কি কখনো জিজ্ঞেস Or খোঁজ নিয়েছেন “ওরাও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে কিনা??

কথাটা শায়লা বেগমের কানে নয় বরং brain এর মধ্য হিট করলো! কিছু সময়ের জন্য abnormal হয়ে গেলেন! মনে হচ্ছিল মাথা ঘোরে পড়ে যাবেন! কোন রকমে তাল সামলিয়ে নিজে নিজেই যেন বললেনঃ

—- ইয়া অাল্লাহ্… অাপনি রক্ষা করুন!

— (সাথে শুভন যোগ করলো) অামিন।।

—- শুভন সাহেব, অাপনার কথায় যুক্তি, Plus possibility অাছে! কিন্তু অাগে কেন যে এটা অামার মাথায় অাসলো না??

— ম্যাডাম, এখনো সময় শেষ হয়নি, So next time কোন accident ঘটার অাগেই সর্বসাকুল্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

—- হুমম, exactly… but অামিতো ভেবেই পাচ্ছি না, কে বা কাহারা, কেন এমনটি করছে??

— তবে অামি কিছুটা অাঁচ করতে পারছি! অাশা করছি অচিরেই case টা solution হয়ে যাবে!

—- Oh really! কি অাঁচ করতে পারলেন? একটু Share করুন Please…

— এখনই নই ম্যাম, অার একটু advance হয়, then পুরোটাই অাপনাকে বলব।।

—- Ok, but একটু fast করুন please..

— সেটা নির্ভর করছে, অাপনার সহায়তার উপর??

—– (অবাক হয়ে) অামার সহায়তার উপর?

— হুমম, অাপনার সহায়তা ছাড়া শয়তানটাকে ধরা সম্ভব নয়!

—– শয়তান! তবে কি ভূত প্রেতাত্মা বা জ্বীন জাতীয় কিছু?

— (মিষ্টি করে হেসে) না ম্যাডাম, সেরকম কিছু নয়! এটা মানুষরূপী হিংস্র শয়তানের কাজই! তাছাড়া এখন “শয়তান অার শয়তানি করে না, মানুষের শয়তানি দেখেই অবাক হয়ে অট্টহাসি হাসে অার নৃত্য করে!”

—- তা- যা বলেছেন, মন্দ বলেন নি! নয়তো এমন ঘটনা কেমন করে হয়? অাজ সারা বিশ্ব, হিংস্র জানোয়ার ও হায়েনার দখলে! যেদিকেই চোখ যায় শুধুই শয়তানের খেলা, সেটা দেশের ভিতরে বা বাহিরে…(দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন)

— একদম তাই! সে যাহোক এখন অাপনার ও অাপনার বাবার এবং অানোয়ার সাহেব(স্বামী) ও ওনার বাবার ইতিহাসটা একটু বলুন! please অপারগতা দেখাবেন না, যতটুকু জানুন ততটুকুই বিস্তারিত বলার চেষ্টা করুন।

—- Ok..

তারপর, একে একে সবটা শেষ করলেন মিসেস শায়লা বেগম। তবে দু’একটা হালকা ব্যাতিক্রম ছাড়া, বাকি সবই স্বাভাবিক! তো কোনভাবেই মনে হচ্ছে না, এ ঘটনার পিছনে কোন ইতিহাস অাছে… যা থেকে ধারণা করা যায় শায়লা বেগমের পরিবার effected? তবে কি শূণ্য থেকে শুরু করতে হবে? প্রথমে যা ভেবেছিলো সেটাই ঠিক??

শুভনের ৫/৬ বছরের গোয়েন্দা জীবনে অনেক কেইস দেখেছে, অনেক গভীর অব্দি ভেবেও কোন কুল কিনারা পাইনি অথচ যেটা অামলে নেইনি সেটা থেকেই ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছে। একদম নরমাল বিষয় থেকে কেইস সমাধান হয়ে গেছে। এখানেও কি তেমনই কিছু ঘটেছে! সাধারণ দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে “এটা কি করে সম্ভব অথচ কাম বানিয়ে বসে অাছে”!!

শায়লা বেগমের সাথে অারো কিছু বিষয়ে আলোকপাত চলে। অফিস ও অফিসের স্টাফদের নিয়ে অার বিশেষ করে বাসার কাজের মেয়ের বেপারটা! যেহেতু ঘুমের মধ্যে সব কিছু ঘটছে, সেহেতু খাবারের মধ্যে কোন poison or ঘুমের medicine mixed করা হয় কিনা??

তবে কাজের মেয়ের কি লাভ?? কেননা লাভ ছাড়াতো কেউ ই এমন Risk able কাজ করতে ইচ্ছুক হবে না। খোঁজখবর নিয়ে জানা গেলো বুলবুলি কিশোরগঞ্জের মেয়ে অার অফিসের ম্যানেজার রকিব সাহেবই ওকে ম্যানেজ করে দিয়েছেন।

তবে কি এসব কিছুর পিছনে, ম্যানেজার সাহেবের ইশারা অাছে? না হবার কোন কারণও নেই, কেননা শায়লা বেগমের অঢেল ধন সম্পদের প্রতি লোভ জাগাটাই স্বাভাবিক। তাছাড়াও এমন মিষ্টি ও দুর্দান্ত ফিগারের অধিকারী বসের প্রেমে পড়ে যাওয়াটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। যদিও কয়েকদিনের ধকলে কিছুটা বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে তবুও চেহেরার অাকর্ষণের কিঞ্চিৎ ভাটা পড়েনি।।

হুট করেই ইন্টারকম টেলিফোনের শব্দে দুজনেই একসাথে চমকে উঠে! গভীর মনোযোগী অালোচনাতে ব্যাঘাত পড়াতে একটা অপ্রস্তুত অবস্থা তৈরী হয়, একে অপরের মুখের দিকে চাওয়া চাওয়ি করে! শুভন রিসিভার কানে ঠেকালে, অপর প্রান্ত থেকে office receptionist নির্ঝরা বলেনঃ

— স্লামালাইকুম স্যার।

— ওয়ালাইকুম, নির্ঝরা বলো??

— স্যার, একটা চিঠি অাসছে অাপনার নামে। উপরে লিখা “emergency”..

— Ok.. পাঠিয়ে দাও।

টেলিফোন রেখে দিয়ে, শুভন অতি বিনয়ের সহিত মুচকি হাসি দিয়ে বললঃ
— Sorry ma’am..

—- It’s ok.. তাহলে অামি উঠি। kindly অাপনি case টা দ্রুত সমাধান করুন অার অামাকে বাঁচান।

— obviously ma’am, Why not?? 
তবে অাজ বাসায় ফোন করে বলে দেন, বাসায় কোন রান্না না করতে। কারণ বাসার সবাই “রাতের খাবার” বাহিরে খাবেন এমনকি অাপনি ও মেয়েরা intact বোতলের পানিও পান করবেন। ভুলেও বাসার কিচ্ছু খাবেন না।

—- কেন, সেটা কেন??

— কারণ অার কোন Risk/Time নিতে চাচ্ছি না। কালপিট টাকে দ্রুত অাটক করতে চাচ্ছি। অার অাশা করছি অাজ রাতেই একটা result পাব।

—- Ok..তাই যেন হয়। অার অামি অামার দিকের সব ব্যবস্থা করতেছি।

শায়লা বেগম বিদায় নিলেন, অার শুভন চিন্তার সাগরে ডুব দিলেন। কিন্তু না, সেটা অার হলো না কারণ নির্ঝরা চিঠি নিয়ে হাজির। মেয়েটি যেমনি দেখতে, তেমনই ব্যবহারেও! কখন কি বলতে হয়, একদম ঠোঁটের অাগায় সেটা এসে থাকে! পরিস্থিতির উপর যেন কোর্স করা, যেমন এখন মিষ্টি হাসি হেসে চিঠিটা দিয়ে বললঃ

— স্যার, দেখেতো মনে হচ্ছে “ভাবির warning Letter এটা”!!

—- “ভাবির warning letter” মানে??

— মানে একদম সহজ। এভাবে সকাল সন্ধ্যা অফিসে পড়ে থাকলে, বাসায় থেকে এমন করেই warning অাসে স্যার… হা হা হা….

—- হুম, তোমার পাঁকনা মাথার জিনিয়াস বুদ্ধি। কিন্তু তোমার এমন experience হলো কেমনে? তুমিতো Bachelor??

— Sir, bachelor bt single নই!

—- ওরে বাব্বা! এবার তুমি যাও, কারণ বাকিটা অামার বুঝা হয়ে গেছে অার বেশিক্ষণ থাকলে হয়তো অাজ বিকালের ডেটিং এর ছুটিটা মঞ্জুর করতে হবে!!

— স্যার, অাপনি সত্যিই লিজেন্ড! কি করে বুঝে যান, না বলা কথা??

—- তুমিও কাজে ফাঁকি না দিয়ে regular attending কাজ করো, দেখবে দিব্যি Magician হয়ে গেছ।

— কিন্তু অাজকের দিনটা একটু ফাঁকি দেই স্যার! কাল থেকে অাপনার কথায় যথাজ্ঞা…

—– No…

— Please sir.. ple

—- Ok bt only 2 hrs.

— স্যার, অাপনি না…….

—- হুম বলো বলো থামলে কেন?? অামি একটা heartless জল্লাদ, বাংলা সিনেমার টাকাওয়ালা ভিলেন নয়তো চির কুমার কচি খন্দকার…..

— (নির্ঝরা হাসেত হাসতে দরজা ক্রস করার সময়) tnQ sir. কাল দেখা হচ্ছে।

—- এই কাল দেখা হচ্ছে মানে, অফিস টাইম এখনো ৬/৭ ঘন্টা বাকি…

মনে হয় না, অামার কথা ওর কান অব্দি পৌঁছেছে অার নয়তো শুনেও না শুনার ভান করে চলে গেলো, প্রেম জিনিসটা বড়ই বেহায়া…!! এখন হাসিখুশি ও সুখ ফিল করছে অাবার একদিন দেখতে পাব, shocked খেয়ে…………..

যাহোক খাম খুলে ভেতর থেকে একটা কম্পিউটার টাইপিং চিঠি পাওয়া গেলো। অার চিঠির নীচে নামটা দেখে শুভনের স্বস্তির নিশ্বাসের শব্দ পাওয়া গেলো। প্রথম থেকে পড়তে শুরু করলোঃ

স্যার, প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। অার অামি জব বা অাপনাদের থেকে পালিয়ে অাসিনি, বরং নিজের নিকট থেকেই নিজেকে লুকিয়ে রাখছি। কিন্তু এটা ব্যাখা করার সময় এখন নই, তাই একটা জরুরী মেসেজ দিচ্ছি। শায়লা বেগমের case টা শুধুই normal case নই, এটা একটা ”প, ভ”…… কেইস । সাদিয়া

চিঠিটা পড়ার পর, ২২ হাজার চিন্তাভাবনা এক সাথে ভীড় করলো ব্রেণের ভেতরে। প্রথমে মনে হলো এটা fake (উড়োচিঠি) কেননা এটা ছিলো কম্পিউটার টাইপিং অানাড়ী চিঠি, যা গোয়েন্দা দপ্তরের বহির্ভূত লোকের কাজ। সাধারণ একটা কোড ব্যবহার করা হয়ছে, হয়তো case টা divert করে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার একটা কৌশল।।

পরক্ষণেই অাবার ভাবলো, এমনো হতে পারে সাদিয়া নিজেকে অাড়ালে রাখার জন্য বা কেউ এই চিঠি সন্দেহ করুক সেটা চাইনি। তাই অাম পাবলিকের মত করে চিঠি পাঠাইছে। তবুও কিছু কিন্তু থেকেই যায়।।

তবে চিঠির উপর ভিত্তি করে case advance করলে result কি হবে? প, ভ……?? প,ভ দিয়ে অনেক কিছুই অাসে! না অার ভাবতে পারছে না। অাপাতত এটুকুই থাক, বাকিটা নির্ভর করবে অাজ রাতের ঘটনার উপর ভিত্তি করে…

পরেরদিন সকাল ৭ টা, শুভন বাসার ভেতর বসে বই পড়তে ছিলো এমন সময় নির্ঝরা “emergency message” করলো! মেসেজ টা seen করে, শুভনের Heart bit কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে গেলো!!

কারণ মেসেজটা……

চলবে ………………… পর্ব-৫

সর্বশেষ

কুষ্টিয়ায় আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৭

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার পর সংঘর্ষে জড়িয়ে অন্তত সাতজন...

কুষ্টিয়ায় শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি, বরখাস্ত প্রধান শিক্ষককে পুলিশে সোপর্দ

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির মামলায় বরখাস্ত প্রধান শিক্ষককে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর)...

কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় একটি শিশুসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।   বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে...

পাসপোর্ট সংশোধনে সরকারের নতুন নির্দেশনা

এনআইডির তথ্য অনুযায়ী পাসপোর্ট রি-ইস্যুর নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পাসপোর্ট...

আরও পড়ুন

ছোট গল্প- ” অপেক্ষা “

লেখকঃ হুমায়ূন কবির হিমু, নাটোরের ছায়াঘন সু-নিবিড় ইউনিয়ন পর্যায়ের নদীতীরের প্রত্যন্ত একটি গ্রামের নাম...

থ্রিলার গল্পঃ “কালোছায়া” পর্ব-৬

লেখকঃ "এম এইচ নীলয়" পর্ব-৬ ( শেষপর্ব ) শুভনের চোখ খুশিতে চিক করে উঠলো, অার নিজেও...

থ্রিলার গল্পঃ “কালোছায়া” পর্ব-৫

লেখকঃ "এম এইচ নীলয়" পর্ব-৫ "স্যার'' শায়লা বেগমের বড় মেয়ে অানিকা, গত রাতে সিলিং ফ্যানের সাথে...