প্রচন্ড গরমে কুষ্টিয়ার জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বাড়ছে পানিবাহিত রোগ। ডায়রিয়ার পাশাপাশি জ্বর, সর্দিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। হিটস্টোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে অনেকে। ফলে শহরের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও রোগীর চাপ বাড়ছে।
গরমে কুষ্টিয়ায় ডায়রিয়া রোগীর বেশীর ভাগই শিশু। বর্তমানে পানির চাহিদা বেশি, কিন্তু কুষ্টিয়া শহরে বিশুদ্ধ পানির অভাব তিব্র। জীবাণুযুক্ত খাবার ও দূষিত পানি পানে মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে চিকিৎসকরা মনে করছেন।
সদর হাসপাতালে দিনে গড়ে ৩০ জন শিশু হাসপাতালে ডায়রিয়া ও শিশু ওয়াডে সেবা নিচ্ছে শনিবার সকাল পর্য়ন্ত দুই ওয়াডে ভর্তি রোগির সংখ্যা প্রাই ১০০জন। কুষ্টিয়া বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকেও ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছে। সব মিলিয়ে দিনে গড়ে ৫০ জন ডায়ারিয়ায় ও বিভিন্ন শিশু রাগে আক্রান্ত হচ্ছে। বেড স্বল্পতার কারণে সরকারি হাসপাতালের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপালে কর্তব্যরত নার্চ ও ডাক্তাররা বলছেন আবহাওয়া পরিবর্তন নাহলে রোগিদের চিকিৎসাদিতে আমাদের বেগপেতে হতেপারে। যত দিন যাবে হাসপাতালে রোগির সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। বর্তমানে এখন চাহিদা অনুযায়ী স্যালাইন সরবরাহ রয়েছে। রোগে আক্রান্ত রোগির বেশির ভাগি শিশু,তাই তারা প্রচন্ড গরমে খাবারে প্রতি সচেতন্তাবৃদ্ধির জন্য শিশুকে খাবার খাওয়ানর আগে ভালোকরে হাতধুয়েনিতে, বাঁশি পচা খাবার ও বাইরের খোলা খাবার হতে বিরত থাকতে এবং বেশিপরিমানে বিশুদ্ধ পানি পান করতে বলছেন চিকিৎসকরা।