কুষ্টিয়া পৌর মেয়রের কাজের সাথে এথন মজমপুর গেটে আজ সকালে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাঠে নেমেছেন পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার)। ফগার মেশিন নিজ হাতে তুলে নিয়ে উদ্বোধন করলেন ডেঙ্গু প্রতিরোধ কর্মসূচি। সেই সাথে পথচারীদের নিজ হাতে তুলে দিচ্ছেন সচেতনতামূলক প্রচারপত্র। সচেতন নাগরিক মহল মনে করেন, পুলিশ সুপারের আজকের মহৎ উদ্যোগকে কুষ্টিয়ার কিছু ঝিমিয়ে থাকা দপ্তরের কিছুটা হলেও জেগে থাকা ঘুম ভাঙ্গবে ! জেলার সকল সরকারী দপ্তরের পাশাপাশি বেসরকারী ও সাধারণ মহলকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।
কুষ্টিয়া জেলা জুড়ে দিন দিন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এতে বাড়ছে জনমনে আতঙ্ক। কুষ্টিয়ায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মশা নিধনে তেমন অভিযান না থাকলেও সচেতনতা মূলক প্রচারনা ও আঙ্গিনা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা চলছে অব্যাহত।
এদিকে কুষ্টিয়া ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে গত ৭ জুলাই তারিখে প্রথম একজন রোগীর ডেঙ্গু সনাক্ত হয়। গত ২৪ ঘন্টায় শুক্রবার দুপুর থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৫০ শষ্যার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে শিশুসহ আরো ১৩ জন নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ৬ জন রোগী চিকিৎসা শেষে সুস্থ্যহয়ে বাড়ী ফিরেছে। এখন এই হাসপাতালে ১০ জন শিশুসহ মোট ৩৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ পর্যন্ত মোট ১০১ জন ডেঙ্গু রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ রোগীই ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, প্রায় প্রতিদিনই ১০-১৫ জন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে। রোগীদের সামাল দিতে কিছুটা হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তার ও সেবীকারী। হাসপাতালের পেইং ওয়ার্ডকে ডেঙ্গু ওয়ার্ড করা হয়েছে। তবে এখানে ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসার ইকুপমেন্ট সংকট রয়েছে। দ্রুতই ঢাকা থেকে ইকুপমেন্ট আনা হবে।
এছাড়া সচেতন নাগরিক মহল জোড়ালো দাবী করে প্রতিবেদককে জানান, আগামী ঈদকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল, স্বাস্থ্য দপ্তর, জেলা প্রশাসন , পৌরসভা, সরকারী-বেসরকারী দপ্তরসহ সবাইকে আরো নানা ফলপ্রসূ কর্মসূচী গ্রহণের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
অপরদিকে পৌর নাগরিকের নানা অভিযোগের বিষয়কে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার পৌর মেয়র আনোয়ার আলী বলছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও মশা নিধনে সর্বাত্বক আন্তরিকভাবে পৌরসভা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।