কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে আছেন বারান্দায়। গায়ের ওপর হাজারো মাছি, বিছানা নেই, সরকারি অনুদানের একটি কম্বল জড়িয়ে পড়ে আছে সেটাও আবার স্যাঁতসেতে ভেজা, হাতে লাগানো কলেরা স্যালাইন। বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে সেকি সুস্থ্যতার জন্য এখানে এসেছে? ওয়ার্ডের সেবিকাকে ডাকতেই বললেন নানা সমস্যার কথা।
ডায়রিয়া ওয়ার্ড যেন আজ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত! পাশের ড্রেন গুলা সব আগলা পড়ে আছে বেরোচ্ছে বিশ্রী দুর্গন্ধ। কয়েকটা ফ্যান থাকলেও কারো গায়ে যেন বাতাস লাগে না। তিনটি ছোট ছোট রুম এর সবকটি জানালায় ভাঙ্গা। পাশে রয়েছে দুইটি চাপ কল দুটিই আবার নষ্ট। একটু বৃষ্টি হলেই ওই রুমে আর থাকার কোনো পরিবেশ থাকে না।
যদিও পরিচালক বলছে এই রুমগুলো তৈরি হয়েছিল কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় উন্নত হওয়ার সময় নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য। এই হসপিটালে অনেকগুলাতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কর্মরত রয়েছে আয়া ও পরিচ্ছন্ন কর্মী। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে ওয়ার্ডগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার যেন কেউ নেই।
ইতিপূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি পোস্ট দেখে সাবেক স্বাস্থ্য সচিব সিরাজুম খান পরিচালক কে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার নির্দেশ দিয়ে দেন। নির্দেশ নির্দেশ প্রাপ্ত হয়ে কিছুদিনের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়েছিল। কয়েকদিন যেতে না যেতেই সাবেক সেইরূপে ফিরে পাই ড়ায়রিয়া ওয়ার্ড। আজ হাসপাতালে গিয়ে জানা গেল ৩৭ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি রয়েছে এই ওয়ার্ডটিতে।
প্রতিটা রোগীর স্বজনরা বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে ছুটে আসে আমাদের কাছে।
শাহারিয়া ইমন
কুষ্টিয়া
(ফেসবুক প্রোফাইল থেকে)