জানা গেছে সিরাজুল, আজিজুল সহ আরও ৩ টি পুকুরের পানিতে চাউল পচা দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারনে পুকুরের মাছ ভেসে উঠেছে।

একজন জানায় আজ ভরতপুর থেকে কয়েক মানুষ বেড়াতে এসে পুকুরের পানির গন্ধ নিয়ে প্রশ্ন করলে বিষয়টা জানা জানি হয়ে পড়ে। তারপর সাংবাদিকদের খবর দিলে তারা এসে পুকুরের ছোট্ট বাচ্ছাদের নামিয়ে অনেক গুলি চাউল উপরে উঠান হয়। পুকুরের পানির দুর্গন্ধ থেকে সাধারণ মানুষ ধারনা করছে যে হয় তো পাঁচটা পুকুরে শত বস্তা চাউল ফেলা হয়েছে। এই গন্ধ পাশের বাড়ি ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে।

খোজ নিয়ে আরও জানা গেছে যে এই পুকুর গুলির দুই পাশে দুই ইউ পি সদস্যের বাড়ি। একজন হলো মহিলা ইউ পি সদস্য শাবানা বেগম আরেক জনের নাম আহাম্মদ আলী। গ্রামবাসীর ধারনা যে সরকারের দেওয়া ভিজিএফ চাউল আত্মসাৎ অথবা ক্রয় করে পরে বিভিন্ন গন মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের ফলে ভঁয়ে এই চাউল পুকুরে লুকিয়ে ফেলে দিয়েছে।

এই খবর পাওয়ার পর মহারাজ পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘটনা স্থানে উপস্থিত হয়ে জানায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট থেকে খবর পেয়ে আমি এখানে এসেছি। উনি আমাকে তদন্ত করে আসল ঘটনা বের করতে বলেছে। তবে আমি প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি যে ইউনিয়ন পরিষদে চাউল দেওয়ার পর সবুজ নামে এক ব্যক্তি ২৬ শত কেজি চাউল কিনে আজিজুলের নিকট বিক্রয় করেছে। বিভিন্ন তৎপরতার কারনে আজিজুর সেই চাউল পুকুরে ফেলে দিয়েছে। তবে চাউল যে সরকারী এই কথা চেয়ারম্যান স্বীকার করেছে।

তবে সবুজ চাউল ক্রয়ের কথা স্বীকার করে বলে যে আমি ৬৫ হাজার টাকার চাউল আজিজুরের নিকট বিক্রয় করেছি। আজিজুলের সাথে মোবাইলে কথা বললে সে জানায় যে সে আত্মীয় বাড়ি গেছে কিন্ত আজিজুলের স্ত্রী জানায় যে সে সকালে চাতালে গেছে দুপুরে খেতে আসেনি।

এই ঘটনা জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ কে জানান হলে তিনি বলেন, দোগাছি ইউনিয়নে ভিজিএফ চাউল চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমি ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসেকে পাঠিয়ে সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে যথা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিব।