নিউ ইয়ার্ক প্রতিনিধি মুনসী মোঃ সাজেদুর রহমান টেনটু: নিউইয়র্কে এসে বাংলাদেশের ‘জাতীয় প্রেসক্লাব’র সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন রূঢ় ও শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরনের সম্মুখীন হয়েছেন।
নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য ফোবানা সম্মেলনের একটি গ্ৰুপের আহবায়ক শাহ নেওয়াজ রূঢ়ভাবে জনসম্মুখে ফরিদা ইয়াসমিনকে ‘জাতীয় প্রেসক্লাবের কলঙ্ক’সহ নানান কটু কথায় জর্জরিত করেন। নিউইয়র্কেও সাংবাদিকরা এই ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেন।
অপ্রিতিকর এই ঘটনাটি ঘটে উডসাইডের গুলশান ট্যারেস মিলনায়তনে নরসিংদী জেলা সমিতির ইফতার। এ নিয়ে কমিউনিটিতে চলছে নানান আলোচনা সমালোচনা। গত ২২ মে ইফতার পার্টিতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন।
তিনি বক্তব্য রেখে মঞ্চ থেকে নেমে আসার পর ফোবানা সম্মেলনের আয়োজকদের রোষানলের শিকার হন। শাহ নেওয়াজ সম্মানিত রূঢ় ও রাগান্বিত হয়ে সম্মানিত সাংবাদিক নেত্রীকে বলেন, আপনি জাতীয় প্রেস ক্লাবকে অনিরেপেক্ষ প্রমান করেছেন। আপনার মতো মানুষের জন্য জাতীয় প্রেসক্লাব সম্মানের জায়গা হারায়। আপনি ‘জাতীয় প্রেসক্লাবের কলঙ্ক’ এবং আপনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন’ বলে অভিহিত করেন ও অন্য সবাই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।
এই সময় অনেকের মধ্যে পাশে ছিলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন উত্তর আমেরিকা সংস্করণের নির্বাহী সম্পাদক লাবলু আনসার। তিনি বলেন, উনি তো আপনাদের টাকা ফেরত দিয়েছেন! এ কথা বলায় অন্যান্যরা আরো রেগে যান। সেই সময় জাতীয় প্রেসক্লাব’র সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমি তো কখনো একা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। আমাদের মিলনায়তন ভাড়া করার ফর্মে লেখা আছে ‘ যে কোনো সময় আমরা যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি ভাড়া দেওয়া মিলনায়তন সম্পর্কে’।
এই প্রতিবেদক ঘটনার পরে ফরিদা ইয়াসমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেলে তিনি বলেন, এ নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। আমি নিউইয়র্কে এসেছি ব্যক্তিগত কাজে। এখানে প্রেস ক্লাবের বিষয়ে কোনো অফিসিয়াল বক্তব্য আমি দিতে চাই না। প্রেস ক্লাব আমার একার না। আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। প্রেসক্লাবের কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা কারো কাছে জবাব দিতে বাধ্য নই। বাঙালিরা যে দেশের বাহিরে এসেও দলাদলিতে বিভক্ত এ সব তারই প্রমাণ বহন করে।
জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস এসোসিয়েশনের সভাপতি ও ফেবানার এক অংশের আহবায়ক শাহ নেওয়াজ বলেন, কয়েক মাস আগে ফোবানা কমিটির নেতৃবৃন্দ জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করতে গিয়েছিলেন। সম্মেলনের ভাড়া নেয়ার পরও তাদের সম্মেলন করতে দেয়া হয়নি। প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল-ফোবানা’র দুটি গ্ৰুপের বিরোধের কারণে সম্মেলন করা ভাড়ার চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। এর কয়েক দিন পর অপর ফোবানা সম্মেলন আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিস্ট নেতৃবৃন্দ জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মেলনকালে সংবাদ সম্মেলন করার সুযোগ লাভ করেন। উনি নারী বলে ভালো আচরন করেছি। এই ধরনের কাজ যদি কোনো পুরুষ মানুষ করতেন তাহলে আমরা আরো খারাপ আচরন করতাম।
যুক্তরাষ্ট্রে ও কানাডায় ‘ফোবানা’ নামে প্রতিবছর একের অধিক অনুষ্ঠান হয়ে আসছে অনেক বছর ধরে। নেতৃত্বের কোন্দল এর অন্যতম কারণ।