আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়ার উন্নয়নের রূপকার মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, কম পক্ষে ১০০ একর নিষ্কন্টক জমি পাওয়া গেলে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলায় ১ ঘন্টার দুরত্বের মধ্যে বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
৬ এপ্রিল শনিবার বিকেলে ঢাকার বিদ্যুত ভবনের মুক্তি হলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৃহত্তর কুষ্টিয়ার নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সম্মানে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানে একসঙ্গে হয়েছিলেন বৃহত্তর কুষ্টিয়ার মন্ত্রি-এমপিরা।
বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ঢাকার সভাপতি মোহাম্মদ আল কামা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন, কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম সরওয়ার জাহান বাদশা, কুমারখালী-খোকসা আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান এবং কুষ্টিয়ার সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রাশিদা বেগম।
প্রধান অতিথি মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেন, সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে কুষ্টিয়ার দাবি অনেক দিনের। কিন্তু কেন হয়নি তা আমরা অনেকেই জানি না। আমাদের কুষ্টিয়ায় চার তারকা মানের কোনো হোটেল নেই, নেই এক সঙ্গে তিনটি দেশের প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা সভা সেমিনার করার অডিটোরিয়াম। এসব কারণেই বগুড়াকেই সাংস্কৃতিক রাজধানী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, তবে বিআরবি গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মজিবর রহমান আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি চার তারকা মানের একটি আবাসিক হোটেল নির্মাণ করবেন। সেইসঙ্গে ঢাকার পরেই কুষ্টিয়ায় নির্মাণের পথে আধুনিক শিল্পকলা একাডেমি। এ দুটি কাজ সম্পন্ন হলেই কুষ্টিয়াকে সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণার বিষয়ে আমরা অগ্রসর হতে পারবো। তিনি আরও বলেন, আমরা জানি কুষ্টিয়া অঞ্চল হচ্ছে সব চেয়ে উর্বর পলিমাটিয্ক্তু সমতল ভুমি এলাকা। যেখান থেকে স্বাধীন বাংলার স্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সে সময় দেশের সাবেক ২০ জেলার মধ্যে বৃহত্তর কুষ্টিয়ার মেহেরপুরের মুজিব নগরকে নিরাপদ মনে করেই স্বাধীন বাংলার অস্থায়ী সরকারকে শপথ গ্রহণের জন্য নির্ধারণ করেছিলেন। সেই কুষ্টিয়া আগামীতে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে এমন প্রত্যাশাও করেন তিনি।
হানিফ বলেন, প্রথম পদ্মা সেতু নির্মাণের পর বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন রয়েছে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের। সেটির কাজও অনেক দুর এগিয়েছে। তিনি বলেন, দৌলতদিয়া টু পাটুরিয়া দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মান হলে কুষ্টিয়া তথা এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক-সামাজিক উন্নয়নে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ রাখবে বলে মনে করি। এ সময় বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ সমিতির ঢাকাস্থ সদস্যবৃন্দসহ রাজনীতিবিদরা উপস্থিত ছিলেন। পরে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।