ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ভিজিএফের চাল কম দেয়ায় নাসির উদ্দীন চৌধুরী নামে স্থানীয় একটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের গালে চড় মেরেছেন শরিফুল ইসলাম নামের এক ভ্যানচালক।
ঘটনাটি কালীগঞ্জ উপজেলার ৫ নং শিমলা-রোকনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ঘটেছে, গতকাল রোববার।
শরিফুল ইসলাম কালীগঞ্জ উপজেলার ছোট শিমলা গ্রামের ছবেদ আলী মন্ডলের ছেলে।
এবার ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে দুস্থদের জনপ্রতি ২০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা। কিন্তু, শিমলা-রোকনপুর ইউনিয়নে দুস্থদের ১০ কেজি করে চাল দেয়া হয়।
রোববার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান নাসির চৌধুরীর উপস্থিতিতে ভ্যানচালক শরিফুলকে ৭ কেজি চাল দেন গ্রাম পুলিশ আব্দুল হাকিম। তিনি চাল নিতে অস্বীকৃতি জানান।
ভ্যানচালকের আচরণে চেয়ারম্যান ক্ষুব্ধ হন। এক পর্যায়ে তিনি শরিফুলের মুখে চড় মেরে বলেন, ‘হাট শালা, তোকে চালই দেয়া হবে না।’
এ সময় বিক্ষুব্ধ ভ্যানচালক শরিফুলও পাল্টা চেয়ারম্যানের গালে চড় বসিয়ে দেন। এরপর উপস্থিত গ্রাম পুলিশের সদস্যরা তাকে বেধড়ক মারপিট করে বের করে দেন।
এরপর ঘটনার দিনই বিকেলে শরিফুল ইসলাম কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
জানা গেছে, ইউনিয়নে মোট ভিজিএফ কার্ডধারী ৮৮৪ জন। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক এবার ইউনিয়নের ৪৮৩ জনকে ২০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও অনেককেই দেয়া হয়েছে মাত্র ১০ কেজি।
শিমলা-রোকনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন চৌধরী বলেন, ‘শরিফুল ইসলাম ভিজিএফ তালিকাভুক্ত নন। গরিব হওয়ায় মানবিক কারণে তাকে ১০ কেজি চাল দিয়েছিলাম। কিন্তু, তিনি চাল না নিয়ে গ্রাম পুলিশদের মারধর করেন। এক পর্যায়ে আমার উপরও চড়াও হন।’
এ সময় ভ্যানচালককে চড় মারার কথা তিনি অস্বীকার করেন।
তবে শরিফুল ইসলাম দাবি করেন, ‘চেয়ারম্যান বিনা দোষে তাকে চড় মারেন। রাগের বশে আমিও চড় মেরে প্রতিশোধ নিয়েছি। পরে তারা আমাকে নির্যাতন করেছে।’
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায় জানান, ‘শরিফুল ইসলামের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’