কুষ্টিয়ার প্রধান ডাকঘর কার্যালয়ে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। কেউ ঘুষ না দিতে চাইলে তাকে পড়তে হয় নানা ভোগান্তিতে। এমনকি এই দুর্নীতি আর অনিয়মের প্রতিবাদ করলে তার সঙ্গে করা হয় অশোভন আচরণ।
এছাড়াও রয়েছে চোরের উপদ্রব। সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও নজরদারী না থাকায় বিপাকে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
বিধবা মায়ের জমি বিক্রির ৫ লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র করতে মিরপুর উপজেলা ডাকঘরে যান বীজনগর গ্রামের তানিয়া ইসলাম।
পোস্টমাস্টার সাইফুল ইসলাম তাকে তিনদিন ঘোরানোর পর ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। ৩ হাজার টাকায় সমঝোতা করেন তানিয়া। টাকা লেনদেনের সময় কেন টাকা নিচ্ছেন সে ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি পোস্টমাস্টার।
ডাকঘরে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সঞ্চয়ের টাকা জমা রাখতে গ্রাহকদের প্রায়ই হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। টাকা জমাদানের রশিদ বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে ৫০ থেকে ২’শ টাকা নেয়া হয়। আবার সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলনের সময় সুবিধাভোগী গ্রাহকদের কাছে থেকে উৎকোচ নেয়া হয়।
গ্রাহকদের অভিযোগ, জেলার প্রধান ডাকঘরসহ বেশ কয়েকটি ডাকঘরেও একই পরিস্থিতি। সিসি ক্যামেরা থাকলেও নেই কোনো নজরদারী।
এসব বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি কুষ্টিয়া প্রধান ডাকঘরের পোস্টমাস্টার জেনারেল।
ডাকঘরে টাকা লেনদেন করতে গিয়ে চুরির কবলেও পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। হয়রানি বন্ধে অবিলম্বে প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন তারা।