খুলনায় নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১৬) ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৬ যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত ১২টা থেকে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টা পর্যন্ত রূপসার শ্রীফলতলা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- খুলনা জেলার রূপসার শ্রীফলতলার শরীফুল ইসলাম (২১), আসাদউল্লাহ (২০), কামরুল (১৮), নাঈম (১৮), বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের রিয়াজ (১৮) ও সাতক্ষীরার সোহেল (১৮)। ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসার ছাত্রী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি রয়েছে।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এস.এম সফিউল্লাহ জানান, ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে নানা বাড়ি থেকে একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। তার মা থাকেন খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা ট্রাক স্ট্যান্ডের কাছে। মেয়েটি মায়ের কাছে বেড়াতে এসে বুধবার তার প্রেমিক মোড়েলগঞ্জের নিয়ামুল নামের এক যুবকের সঙ্গে খুলনার হাদিস পার্কে ঘুরতে যায়। মেয়েটির সঙ্গে আট বছরের একটি খালাতো ভাই ছিল। নিয়ামুল মেয়েটিকে ঘুরতে নেওয়ার কথা বলে রূপসার শ্রীফলতলার একটি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা বাকিদের মধ্যে দুইজন ও নিয়ামুল মেয়েটিকে একটি পরিত্যক্ত ঘরে ধর্ষণ করে।
এ সময় বাকিরা ছোট ছেলেটিকে পাশে ঘুরতে নিয়ে যায়। ঘটনার পর মেয়েটি বাসায় এসে তার মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়। বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগীর মা রূপসা থানায় এসে মৌখিক অভিযোগ করেন। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের বিশেষ টিম অভিযানে নামে। অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনায় রূপসা থানায় একটি ধর্ষণ মামলার প্রস্তুতি চলছে। মূল আসামি নিয়ামুলকে আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।