গ্রামপুলিশের আর্তনাদ, ঈদেও নেই তাদের বেতন বোনাস! এ কেমন চাকুরী ঈদের মধ্যেও বেতন বোনাস কোনটাই হয় না। ঈদের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমীক সহ দেশের যতো ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানই হোক তার শ্রমিকেরর বেতন বোনাস পরিশোধ করে। যে যেখানেই কাজ করুক না কেন অন্য মাসে বেতন বাকী রাখলে ঈদের মাসে বাকী বেতন সহ পরিশোধ করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সরকার দলের সকল মন্ত্রী বিশেষ করে মাননীয় অর্থ মন্ত্রী ফলাও করে টিভি চ্যানেল ও প্রত্রিকায় ব্রিফিং দেয় বাংলাদেশ উন্নয়নশীল মধ্যম আয়ের দেশ, বর্তমানে বাংলাদেশে কোন অভাব নেই। তাহলে ঈদের মধ্যেও কেন গ্রামপুলিশ বাহিনীর বেতন বরাদ্দ হয় না। এই কাজটি যদি কোন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী বা প্রতিষ্ঠান করতো তাহলে সেখানকার শ্রমিকেরা এতক্ষনে রাস্তায় নেমে গাড়ী ভাংচুর শুরু করে দিতো, দেশে অস্থিতিশিল পরিবেশ সৃষ্টি করে ফেলতো।
গ্রাম পুলিশদের সুখদুঃখ নিয়ে কথা বলছিলাম আলতাব আলীর সাথে।
এসময় তিনি বলেন, আমরা সরকারী পোশাক পরিধান কৃত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, তার উপর আবার নামকরন করেছে গ্রাম পুলিশ। সরকারী পোশাক পড়ে পুলিশ হয়ে তো আর রাস্তায় নেমে গাড়ী ভাংচুর করতে পারিনা। তাই পেটে ক্ষুদা আর মুখে হাঁসি নিয়ে দেশের সেবায় নিয়োজিত থাকি। আমরা না পারলে কি হবে অন্যান্য চাকুরীজীবীরা ঠিকই পারে। আর করবেই না কেন ঈদের মধ্যে যে ব্যক্তি ভিক্ষা করে খায় সেও তার পিতা মাতা বউ ছেলে মেয়েকে নতুন জামা কাপড় কিনে দেয়, ঈদের দিন পোলাও মাংস সেমাই সহ পরিবারের সদস্যদের মুখে একটু ভাল খাবার তুলে দেয়ার চেষ্টা করে, এখন বেতনই যদি না পায় তাহলে তা সে কিভাবে করবে। বেতন না দিলেও ডিউটি দিতে ভুল করেনা, বেতন না দিলেও প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে এই ডিউটির চিঠি দিতে ভুল করেনি। গ্রামপুলিশ বাহিনীর উপর এতো জুলুম এতো অত্যাচারের বিচার কাহার কাছে গেলে পাওয়া যাবে ভেবে পাই না। আমার মনে হয়না গ্রামপুলিশ বাহিনীর সদস্যরা বাদে অন্য কোন চাকুরীজীবীর বেতন এখন পর্যন্ত বাকী আছে। আমরা দৌলতপুর থানার গ্রামপুলিশ সদস্যরা আজকে নিশ্চিত হয়েছি ঈদের আগে বেতন হবেনা।
এভাবেই কথাগুলো দেশরত্ন, মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিগোচরের লক্ষ্যে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য ৪৬ হাজার গ্রামপুলিশ বাহিনীর সদস্যদের পক্ষে দেশের সকল সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
আলতাব আলী গ্রাম পুলিশ, রিফাইতপুর ইউনিয়ন,পরিষদ, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ।