মেহেরপুরের গাংনীতে সুদের টাকা দিতে না পারায় লিপি খাতুন (২৮)কে নির্যাতন করে তার বাড়িতে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই গ্রামের ইউপি সদস্যার মেয়ের বিরুদ্ধ।
সোমবার দুপুর ১২ টায় উপজেলার কসবা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত গৃহবধু লিপি খাতুন গাংনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। লিপি খাতুন ঐ গ্রামের শুকুর আলীর স্ত্রী।
লিপি খাতুন বলেন, স্বামীকে বিদেশে পাঠানোর জন্য ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বর সুফিয়া খাতুনের মেয়ে সিমার কাছ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নেয়া হয়। সিমাকে ১ লক্ষ টাকা পরিশোধ করলেও সিমা আরো ৮০ হাজার টাকা দাবি করে। কিছুদিন সময় চাইলে সিমা আমাকে মারধর করে। বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে ঘরে তালা দিয়েছে।
লিপি খাতুনের স্বামী শুকুর আলী জানান, আমি মাঠে কাজ করছিলাম এমন সময় খবর পাই আমার স্ত্রীকে মেরে আহতে করে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে সিমা। দ্রত তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
স্থানীয়রা জানান, গ্রামে একজন চিহ্নিত সুদকারবারী সিমা খাতুনের চড়া সুদের কারনে এলাকার অনেকেই আজ পথে বসেছে। তার সাথে এলাকার অনেক প্রভাবশালী লোকজনের সম্পর্ক রয়েছে যে কারণে সিমা খাতুনের অন্যায় কর্মকান্ড দেখেও এলাকার কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাইনা।
এ বিষয়ে সুদ ব্যবসায়ী সিমা বলেন, আমি তার কাছে টাকা পাবো টাকা চাইতে গেলে আমাকে গালিগালাজ করে এ নিয়ে কথাকাটকাটি হয়েছে।
সুদ ব্যবসায়ী সিমার মা ধানখোলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বর সুফিয়া খাতুন জানান, তার মেয়ে সিমার স্বামী নেই তাই সে সুদের ব্যবসা করে সংসার চালায় এতে দোষের কিছু নেই। তবে লিপিকে মারধর ও ঘরে তালা দিয়ে মেয়ে সিমা অন্যায় করেছে।
গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকার জানান, এ বিষয়ে লিপি বা তার পরিবার অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।