শিক্ষার্থী তামজীত! খোকসা জানিপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় এসএসসি ২০১৯ সালের ব্যবসায় শিক্ষা শাখা ‘ র নিয়মিত শিক্ষার্থী। শ্রেণী রোল নাম্বার -১৬। তার রেজিষ্টেশন নং – ১৬১৩৬৮৯৪৮২। ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষা খোকসা-জানিপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর ব্যবসায় শাখায় ৩৭ জন শিক্ষার্থী ফরম ফিলাপ করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলীর বক্তব্য, কম্পিউটারে মিসটেক হয়ে যাওয়ার কারণে তানজিতের ফরম ফিলাপফিলাপ বাতিল হয়ে গেছে। ফলে এবার সে পরীক্ষা দিতে পারবে না কথাটি বলেছিল শুক্রবার সকাল দশটার সময়। এ ঘটনায় সহপাঠীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে সবাই ক্ষোভে ফেটে পড়ে। সকলেই পরীক্ষা দিতে পারলেও তানজিত দরিদ্র মেধাবী ছাত্র পরীক্ষা দিতে পারবে না। এটা মেনে নেওয়া যায়না। ভুলটা তো করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তানজিতের অপরাধ কি?
এরকম নানা প্রশ্নের ফলে সহপাঠীরা সিদ্ধান্ত নেয় বিষয়টি সুরাহা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে যাই। সেখান থেকে ফিরে এসে তারা কোন আশানুরূপ ফল পায় না।
পরে বিকেল সাড়ে চারটের সময় কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি ঢাকা সড়কের খোকসা বাসস্ট্যান্ডে সড়ক অবরোধ করে বসে। হঠাৎ ঘটনাটি তখনই প্রশাসনের টনক নড়ে। ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ছুটে আসে উপজেলা নির্বাহি অফিসার মাফ্ফারা তাসনীন ও খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদী মাসুদ।
বিষয়টি সুরাহার জন্য জরুরী মিটিং বসে খোকসা-জানিপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর সবুজ চত্বরে। যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা কন্ট্রোলার সাথে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার মাফ্ফারা তাসনীন। অবশেষে রাত সাড়ে সাতটার সময় তানজিত এর এডমিট কার্ডটি তুলে দেওয়া হয় তানজিতের বাবা’র হাতে। এ সময় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বি এম মেহেদী মাসুদ এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মী গণ উপস্থিত ছিলেন।