কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ৭ নং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন এর উপর প্রকাশ সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে নিজেই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে।
গোপগ্রাম বাজার এর স্থানীয় বাসিন্দা ও খোকসা থানা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় গোপগ্রাম বাজার এলাকাবাসীদের সাথে আলাপ চারিতার এক পর্যায়ে বাজারের দোকান ভাড়ার পজিশন কে কেন্দ্র করে আব্দুল্লাহ, আল মামুন, ভাতিজা ইমরানসহ অজ্ঞাত আরও ৬/৭ জন দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা করে। এতে বেশ আহত হন গোগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও খোকসা থানা পুলিশের সহযোগিতায় উক্ত সহিংসতার ঘটনার পরিবেশ শান্ত হয়। ইউপি চেয়ারম্যান কে প্রথমে খোকসা হাসপাতালে চিকিৎসার পর তিনি খোকসা থানায় উপস্থিত হয়ে নিজেই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
খোকসা থানা তদন্ত কর্মকর্তা চাকলাদার আসাদুর রহমান জানান, এজাহারে উল্লিখিত পূর্ব শত্রুতার জের ও গোপগ্রাম বাজার এর পজিশন কেন্দ্র করে দুর্ঘটনা সূত্রপাত হয় এতে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি তার ওপর চড়াও হযয়ে তার উপর হামলা চালায়। এতে সে আহত হয়। পরে চেয়ারম্যান নিজে বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং -৩ তারিখ ১১/০৮/২০১৮। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে গোপগ্রাম বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পুলিশের নিয়ন্ত্রণে পুরো এলাকাটি রয়েছে।
এদিকে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোপগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এজাহারে বর্ণিত তিনজন ব্যক্তি সহ আরো ৬/৭ জন ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে হামলা করে। বাজারের স্থানীয় লোকেরা আমাকে রক্ষা করে এবং আমি প্রাণে বেঁচে যাই। অপরদিকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের ভাতিজা ইমরান, আল মামুন এদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের কাওকে পাওয়া যায়নি।