উদ্ধারে নেই উদ্যোগ।
তৎকালীন কলকাতা পুলিশের সহকারী কমিশনার রায় সাহেব পূর্ণচন্দ্র বিশ্বাস ছিলেন ভারত উপ-মহাদেশের ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নায়ক ক্ষুদিরামের মামা।
রায় সাহেব পূর্নচন্দ্র রায়ের পৈত্রিক ভিটা ছিল কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের অঞ্জনগাছী গ্রাম। অঞ্জনগাছী গ্রামে রায় সাহেব পূর্ণচন্দ্র বিশ্বাসের সাড়ে ৯ শত বিঘা জমি ছিল। যা কালের পরিক্রমায় ইতিহাস বিখ্যাত ক্ষুদিরামের মামা রায় সাহেব পূর্ণচন্দ্র বিশ্বাসের সেই সাড়ে ৯ শত বিঘা জমি প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়েছে।
পূর্ণচন্দ্র বিশ্বাসের ৩ পুত্র সন্তানের মধ্যে ২য় পুত্র নৃপেন্দ্র কৃষ্ণ বিশ্বাস ১৯৩৫ সালে প্রথম বিভাগে মেট্রিক পাশ করে উচ্চ শিক্ষার্থে কলকাতায় গিয়ে ভর্তি হলেন কলেজে। আই এস সি পাশ করে নৃপেন্দ্র কৃষ্ণ ১৯৩৭ সালে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চলে গেলেন জাপানে।
১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শুরু হলে জাপান সে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। নৃপেন্দ্র কৃষ্ণ ফিরে আসেন দেশে নিজ বাড়ী অঞ্জনগাছীতে। পড়তে না পারার হতাশায় সময় কাটতে থাকে তাঁর। যুদ্ধ বন্ধ হয় ১৯৪৬ সালে।
নতুন করে লেখা পড়া করার মন মানসিকতা তখন মৃতপ্রায়। এরই মধ্যে পিতা পূর্ণচন্দ্র বিশ্বাস মৃত্যু বরণ করেন। পরের বছর ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হয়ে যায়। নৃপেন্দ্র কৃষ্ণের অপর দুই সহোদর দেশ ত্যাগ করে চলে যান ভারতে।
তিনি বিধবা মাকে নিয়ে রয়ে যান দেশের বাড়ীতেই। ৫০ সালে এদেশের অধিকাংশ হিন্দু নাগরিক ভারতে চলে যান। এমনি সময়ে তিনি গ্রামে থাকাটা অনিরাপদ মনে করেন। সহসা একদিন চলে আসেন কৈশরের বন্ধু চুনু চৌধুরীর বাড়ীতে।
উদার অকৃতদার ক্ষুদিরামের মামাতো ভাই নৃপেন্দ্র কৃষ্ণ চৌধুরী বাড়ীতে ১৯৭৯ সালের ৩০ এপ্রিল মৃত্যুবরন করেন।