১৮ তেই কি থেমে যাবে পিয়াসের জীবণ গাড়ী ?
মমতাজ আইরিন মীম (২৬) ও ফরহাদ আহমেদ পিয়াস(১৮) আপন দুই ভাই-বোন। বাড়ী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামে। পিতার নাম মোমিনুল হক।
পিতা মোমিনুল হক ছাত্র জীবনে তুখোড় মেধাবী ছিলেন। ক্লাস ওয়ান থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত যার রোল নং ১ ছাড়া কখনো ২ হয়নি। আর্থিক দৈন্যতার কারণে শেষ পর্যন্ত উচ্চশিক্ষা গ্রহন করা হয়নি তাঁর। যার ফলে মোমিনুল হকের জীবণ বাস্তবতায় আজ তিনি মিরপুর মাহমুদা চৌধুরী কলেজের পিয়ন পদে কর্মরত।
মোমিনুল হকের বড় সন্তান মীম লেখাপড়া শেষ করে মিরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সীমান্ত রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ( বর্তমান নাম বর্ডার গার্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়) শিক্ষকতা শুরু করেন। শিক্ষকতা করাকালীন হঠাৎই মীমের শরীরে ঘাতক ব্যাধী ক্যান্সার ধরা পড়ে। দেশে ও ভারতে উন্নত চিকিৎসা গ্রহনের এক পর্যায়ে ২৪ অক্টোবর-২০১৫ সালে মীম মারা যায়। মীম মারা যাবার পর একমাত্র সন্তান পিয়াসই হয়ে ওঠে মোমিনুল দম্পতির সকল আশা-ভরসা। পিয়াস কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ১ম বর্ষ মেকানিক্যাল বিভাগের রোল-৫১ শিক্ষার্থী। গত ৭/৮ মাস আগে জ্বর ও কাঁশিতে হয় পিয়াসের। সাথে গলার দুই পাশে দুটি টিউমারের অস্তিত্ব দেখা মেলে। চিকিৎসা চলতে থাকে কিন্ত জ্বর কমেনা। অবশেষে পরীক্ষায় ধরা পড়ে পিয়াস হজকিংলিম্ফোমা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে।
গত ৬ মাস ধরে পিয়াসের চিকিৎসা চলছে। নিজের যা ছিল তা দিয়ে ও অন্যদের সহায়তা নিয়ে মোমিনুল হক ছেলের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসক যা পরামর্শ দিয়েছেন তাতে পিয়াসের চিকিৎসায় এখনো ৫/৬ লক্ষ টাকা দরকার। যা মোমিনুল হকের একার পক্ষে যোগাড় করা অসম্ভব।