এক সময়ের দেশসেরা জল কন্যা কুষ্টিয়ার সবুরা খাতুন ব্যক্তিগত পদক প্রাপ্তির সেঞ্চুরী অর্জনের বিরল কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। সবমিলিয়ে সবুরার পদক সংখ্যা ১০৩ টি।
কুষ্টিয়ার আমলা গ্রামের খালে বা মজা পুকুরে সাঁতার শিখেছেন, এমন শতাধিক সাঁতারু এখন বিভিন্ন দলের হয়ে খেলছেন জাতীয় পর্যায়ে। এলাকার অনেক কিশোর-তরুণের গলায় শোভা পেয়েছে ১০-১৫টি করে জাতীয় পদক। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সাঁতার প্রতিযোগিতা থেকেও এসেছে সাফল্য।
এই গ্রামের নামেই ইউনিয়নের নাম আমলা। এ ইউনিয়ন এখন পরিচিত সাঁতারু তৈরির আঁতুড়ঘর হিসেবে। শুধু আমলা গ্রামেরই শতাধিক সাঁতারু এখন বিভিন্ন দলের হয়ে খেলছেন জাতীয় পর্যায়ে। এলাকার অনেক কিশোর-তরুণ গলায় পরেছে ১০-১৫টি জাতীয় পদক। সবুরা খাতুন তাদেরই একজন।
এর মধ্যে ৭১ টি স্বর্ণ, ১৮ টি রৌপ্য ও ১৪ টি ব্রোঞ্জ। কৃতি জল কন্যা সবুরা খাতুন জাতীয় জুনিয়র, সিনিয়র, ক্রীড়া অধিদপ্তর, ৮ম সাফ গেমস, বিশ্ব মহিলা ইসলামী গেমস, ১৯ কিঃ মিঃ দূরপালস্না সাঁতার, কমনওয়েলথ গেমস, সাউথ এশিয়ান গেমস্ ও ইন্দোবাংলা গেমস সাঁতার প্রতিযোগীতা থেকে উলেস্নখিত পদক জয়ের কৃতিত্ব দেখান।
১৯৯৫ সালে সবুরা খাতুন মাত্র ৭ বছর বয়সে সাঁতার প্রশিক্ষক আমিরুল ইসলামের হাত ধরে সাঁতার জগতে প্রবেশ করেন।
কৃতি জল কন্যার পদক প্রাপ্তির সেঞ্চুরী অর্জনের বিরল কৃতিত্বের পর তাঁর অনুভূতি কি তা জানতে চাইলে সবুরা জানান, আমি ভাগ্যে নয় পরিশ্রমে বিশ্বাসী ছিলাম। পদক প্রাপ্তির মাধ্যমে আমি পরিশ্রমের যে ফল পেয়েছি সে অনুভূতি নিঃসন্ধেহে আমার কাছে অতুলনীয়।