ঠিকাদারের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে রাস্তার উপর বাড়ী ও প্রাচীর বাঁচানোর অভিযোগ
অনেক সাধনার পরে আমি পেলাম তোমার মন, পেলাম খুজে এ ভূবনে আমার আপন জন।বিখ্যাত এ গানের মতই চৌড়হাস কাস্টমমোড় পশ্চিম গলি বাসী অনেক দিন কাঁদা পানিতে বসবাস করার পর অনেক সাধনা করার পর দীর্ঘ্য দিন অপেক্ষা করার পর কু্ষ্টিয়া পৌরসভার উন্নয়ন কাজের অংশ হিসাবে পাঁকা ঢাঁলায় রাস্তা ও ড্রেনের কাজ শুরু হয়।
কাজ শুরু হলে মহল্লাবাসী বুকে অনেক স্বপ্ন ধারন করেছিল, কিন্তু শুরুতেই তাদের বুকে ছুরি বসিয়ে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের ধরন দেখে। কাজ শুরুর হতেই এলাকাবাসী ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ করে।
এলাকাবাসী মনে করেন ঠিকাদার নামমাত্র কংক্রিট দিয়ে কাজ চালাচ্ছে,যা অত্যান্ত নিম্ন মানের।এলাকার অনেকেই মনে করেন কাজ শেষ করার কিছু দিন পরেই নিম্ন মানের নির্মান কাজের জন্য নির্মান সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাবে।
এদিকে কাস্টমমোড় বাসীর অনেকেই দাবি করেন আমাদের রাস্তা কত ফিট সেটা আমাদের বুঝিয়ে না দিয়েই রাস্তার কাজ শুরু করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। রাস্তার জমি দখল করে অনেকেই সীমানা প্রাচীর এমনকি বাড়ী ঘড় তৈরী করে রাখলেও সেই দিকে নজর না দিয়ে ঠিকাদার তাদের কাজ থেকে মোটা অংকের টাকা খেয়ে রাস্তার ড্রেন বেঁকা তেঁরা করে তৈরী করছে বলে ধারনা সচেতন এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসী দাবি করেন আমাদের রাস্তা কত ফিট সেটা আমাদের ঠিকাদার এবং পৌরসভা বুঝিয়ে দিয়ে ড্রেন এবং রাস্তা নির্মান করুক,তাতে যদি কারোর সীমানা প্রাচীর বা কারোর ঘড় ভাঙ্গা লাগে তবে ভাংতে হবে আর যদি না ভাঙ্গা লাগে তবে টেন্ডার অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার সোহাগের সাথে কথা বলতে গেলে তার সহকারী বলেন তিনি ঢাকা আছেন। তবে ঠিকাদারের সহকারী একজন বলেন ভাই এই রাস্তায় অনেক প্রভাবশালী বসবাস করায় আমরা অসহায়।
তিনি আরো বলেন, সীমানা প্রাচীর বা কারোর ঘড় বাড়ী রাস্তার মধ্যে বেধে গেলে সেটা ভাঙ্গার অনুমতি পৌরসভা আমাদের দেয়নি, বিধায় আমরা বেঁকা তেঁরা করেই ড্রেন করে যাচ্ছি।
কু্ষ্টিয়া পৌরসভার ইন্জিনিয়ার (এক্সচেন্জ) মোঃ রবিউল ইসলামের মুঠোফনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এলাকাবাসীর অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। এলাকা বাসী অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান।