এসব দেখার কেউ নেই..
কোহিনুর ইসলাম : কুষ্টিয়া শহরে প্রাণখুলে ঘুরে বেড়ানো কিংবা অবসর বিনোদনের জায়গা খুব একটা নেই। বৈকালিক ভ্রমণ কিংবা একটু অবসর বিনোদনের জন্য শহরবাসী এদিক-ওদিক ঘুরে সময় অতিবাহিত করতো। তবে গড়াই নদীর ওপর নির্মিত দৃষ্টিনন্দন হরিপুর সেতু ও গাইড বাঁধ এখন শহরের মানুষের অবসর-বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ছুটির দিনসহ প্রতিদিন বিকেলে সেতু ও গাইড বাঁধে শত শত দর্শনার্থীর ঢল নামে। তবে এখন ব্রিজ এর উপর আর যাওয়ার মত পরিস্থিতি নেই ব্রিজ এর দুই পাশে যেনো বালুর পাহাড় হয়ে গেছে এবং নোংরা কাগজপত্র সহ অনন্য বাজে প্যাকেট ও বোতোল দেখা যায়। অনেকের অভিযোগ রয়েছে এই ব্রিজ এর উপর, নতুন নতুন কালে ব্রিজটি বেশ চকচকে ও পরিস্কার পরিছন্ন থাকতো, এখন ব্রিজ এ যাওয়া ও বসারমত কোনো পরিস্থিতি নেই। কিছু দিন আগে হরিপুর এর চেয়ারম্যান এম এ শম্পাকে দেখা গিয়েছিলো ব্রিজ পরিস্কার করনে ঝাড়ু দিতে, তবে এখন সেই ব্রিজ হয়ে গেঝে ময়লা আবর্জনায় পরিপর্ণ । তারপর ব্রিজটিকে ব্যবহার করা হচ্ছে মটরসাইকেলের পাল্লা পাল্লি রাস্তা হিসেবে। অনেকবার নিহত ও আহত হলেও কমিনি মটরসাইকেলের পাল্লাপাল্লি। সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলে গতিসীমা নির্ধারণসহ বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণ সহ ব্রিজটি পরিস্কার পরিছন্ন রাখতে সেতু বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি দাবি করেন ব্রিজে ঘুরতে আশা দর্শনার্থীরা।
ছবি তুলেছেন- আরাফাত হোসেন