কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ই,বি থানাধীন আব্দালপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউ,পি সদস্য মোঃমিজানুর রহমান খাজা ও তার সহযোগী শওকত আলী বেগু কে ইবি থানা পুলিশ আটক করে কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে, পালিয়ে বেড়াচ্ছে এখনো তিন আসামী।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,উক্ত এলাকায় আধীপত্য বিস্তারের জন্য জন্য লক্ষিপুর এলাকার ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে টিপু ও উম্মত মেম্বারের ছেলে ইউ পি সদস্য খাজা’ র নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ দল বা গ্রুপ সৃষ্টি করা হয়, উক্ত দলে স্থানীয় সমশের মন্ডলের ছেলে ফল ব্যবসায়ী আঃসাত্তার কে তারা অন্তভুক্তির চেষ্টা চালাতে থাকে,কিন্তু আঃ সাত্তার তাদের সাথে থাকতে না চাইলে আঃসাত্তারের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে টিপু-খাজা গ্রুপ, তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে আঃসাত্তারকে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে, এরই এক পর্যায়ে গতকাল ২৫/৪/১৯ তারিখে আঃসাত্তারের একমাত্র শিশু পুত্রের “মুখে ভাত ” অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে সন্ত্রাসী চক্র টিপু-খাজা গ্রুপ আঃসাত্তারকে অনুষ্ঠান পন্ডের হুমকি দেয়। এসবে কর্নপাত না করে চলতে থাকেন ব্যবসায়ী আঃসাত্তার।
ঘটনার দিন বৃহঃপতি বার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে আঃ সাত্তার লক্ষিপুর বাজারে নিজের দোকান বন্ধ করে নিজ বাড়ির মুলদরজায় পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা টিপু, মতিয়ার, নিজাম, মিজানুর রহমান খাজা ও শওকত আলী বেগু ব্যবসায়ী আঃসাত্তারের উপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়ে তাকে মারধর করে এবং বাড়ি ভাংচুর করে। এমতাবস্থায় এলাকাবাসী আঃসাত্তারের সাহায্যে এগিয়ে আসে।
ঘটনার সাথে সাথে ইবি থানার ওসি রতন শেখ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং ইউ পি সদস্য খাজা ও বেগু কে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন বাকিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে পাঁচ জন কে আসামী করে ই,বি থানায় একটি মামলা হয়,মামলা নং-১৯,তারিখ ২৬/০৪/২০১৯ইং,মামলার অপর আসামী হলেন টিপু পিতাঃ ইয়াজ উদ্দিন, মতিয়ার পিতাঃলিয়াকত, নিজাম উদ্দিন পিতাঃ ইয়াদ আলি মন্ডল সর্বসাং লক্ষিপুর।
এ দিকে ঘটনার পর উক্ত সন্ত্রাসী গ্রুপের উপর ফুঁসে উঠছে জনসাধারণ। এলাকাবাসীর দাবী, উক্ত ঘটনায় পলাতক আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।
এ বিষয়ে ঘটনার ভুক্তভোগী আঃসাত্তার বলেন, ঘটনার দিন অভিযুক্ত আসামীরা আমাকে মারধর করে আমার কাছে থাকা নগত ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং বাড়িঘরে হামলা চালায়, আমি সুষ্ঠ বিচার চাই।
অন্যদিকে ঘটনার বিষয়ে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রতন শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,মারামারির ঘটনায় খাজা মেম্বার সহ দুজন কে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।