কুষ্টিয়ার মিরপুরে এক স্কুলছাত্রীকে এক ইভটিজার চড় মারে। তারপর সে দৃশ্য ওই বখাটের সহযোগীরা মুঠোফোনের ক্যামেরায় ধারণ করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়। এই ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে গত ২৯ মে ৩ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ১০ ধারা তৎসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৮ এর ২৯ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামি ৩ জন হলো, উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের হাজরাহাটি গ্রামের নিজাম জোয়ার্দারের ছেলে মোঃ শাকিব (১৮), শাহারুলের ছেলে মোঃ রুহান (১৮) ও রফিকুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান (১৮)। মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই ঘটনার শিকার স্থানীয় হাজরাহাটি যৌথ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী স্কুলে ও প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে স্কুলে যাতায়াত করার পথে উল্লেখিত অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে তাকে কুপ্রস্তাব দিতো। চলতি বছরের ৩০ মার্চ বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের সময় সে একাকি স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলো। পথে সংশ্লিষ্ট হাজরাহাটি-ফকিরাবাদ সড়কের মাঝামাঝি ফাঁকা মাঠের মধ্যে আসামিরা তার পথরোধ করে। আসামি শাকিব তাকে কু-প্রস্তাব দেয়। তাতে ওই ছাত্রী রাজি না হলে বখাটে তাকে চড় মারে ও কামনা বাসনা চরিতার্থ করতে ওড়না ধরে টান দিয়ে জাপটে ধরার চেষ্টা করে।
সে ঘটনার দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করে আসামি মেহেদী হাসান। পরে আসামিরা পরস্পরের সহায়তায় ধারণকৃত ভিডিওটি গত ২৭ মে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল আলীম’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মামলাটি স্পর্শকাতর। মামলার তদন্তের স্বার্থে এখনই মামলাটির বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। তবে আসামিদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে আলোচিত মামলাটি দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে সর্বাত্বক চেষ্টা অব্যাহত আছে।