কুষ্টিয়ার মিরপুর থানাধীন আমবাড়ীয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত শাকদহচর গ্রামের গৃহবধু এক সন্তানের জননীর মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে রহস্যের ধূম্রজাল ৷ জনমনে প্রশ্ন- এটা আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা ?
সূত্রে জানা যায়, শাকদহচর গ্রামের মৃত ইতারদ্দিনের ছেলে মেজর আলীর সাথে প্রায় তিনবছর পূর্বে ইবি থানার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের হত দরিদ্র দিনমজুর করিম আলীর ছোট মেয়ে কল্পনা খাতুনের বিয়ে হয় ৷ কল্পনার বাবা করিম আলী হতদরিদ্র হওয়ায় তার শ্বাশুড়ী প্রথম থেকেই তাকে মেনে নিতে না পারায় বরাবরই সংসারে অশান্তি লেগেই থাকে৷
ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী মেজর আলী তার শ্বশুড় বাড়ী খেজুরতলা গ্রাম থেকে নিজ বাড়ীতে তার স্ত্রী ও দেড় বছরের সন্তানকে নিয়ে আসে ৷ তারই ঘন্টা দু’য়েক পরে এলাকার লোকজন জানতে পারে মেজরের স্ত্রী গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে মৃত্যুবরণ করেছেন !
পুলিশ ও প্রতিবেশীদের মাধ্যম জানা যায়- মৃত্যুবরণকারী কল্পনা খাতুনের গলায় রশি বা ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যার কোন আলামত ছিলোনা ৷ এক প্রতিবেশি বলেন, কল্পনা খাতুনকে তার শ্বাশুড়ী অপছন্দ করার কারনে বিয়ের প্রথম থেকেই বিভিন্ন ভাবে স্বামী ও শ্বাশুড়ীর হাতে নির্যাতিত হয়ে আসছে৷
এ বিষয়ে কল্পনার বাবা-মা কান্নাজড়িত কষ্ঠে অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি, আমার পাষন্ড জামাই মেজর আলী ও মেজর আলীর মা আমার মেয়েকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলে আত্মহত্যার নাটক করছে৷
মৃত কল্পনা খাতুনের মা ময়না খাতুন বলেন, আমরা গরীব মানুষ বলে মিরপুর থানা আমাদের মামলা ইস্যু করেনাই! তবে কি আমার মেয়ের হত্যাকারীদের বিচার হবেনা ?
এ ব্যাপারে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালামের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি সুরতহাল রিপোর্টের জন্য পুলিশ পাঠিয়েছে ৷ সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে ৷ এ বিষয়ে কোন মামলা হয়নি বলেও ওসি জানান৷
এলাকার জনমনে এখন প্রশ্ন একটাই- এটা আত্মহত্যা নাকি স্বামী শ্বাশুড়ীর পরিকল্পিত হত্যা ?