কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দাউদ হোসেন (৩৮) নামে এক সবজি ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের গড়ুড়া ঘাটপাড়া গ্রামে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত দাউদ হোসেন ওই গ্রামের আজাহার মণ্ডলের ছেলে।
তবে এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবারের অভিযোগ দাউদ হোসেনকে হত্যা শেষে লাশ গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা ও তাউসের পরিবারের লোকজনের দাবী তাউস গরুড়া ঠাকুর পাড়া গ্রামের এক গৃহবধূর সাথে পরকিয়ার সম্পর্কে লিপ্ত ছিল, সেখানে তাউস গৃহবধূর ডাকে দেখা করতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শ্বাসরোধে হত্যা করে তাকে টেনে হিছড়ে এনে গাছে ঝুুলিয়ে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে তাউসের ভাই জানান, আমার ভাই আত্মহত্যা করতে পারেনা, আমি ও আমার ভাই বৃহস্পতিবার বিকালে সবজী মালামাল ক্রয় করি, আত্মহত্যা করার মত কোন কিছু তার ভিতর দেখি নাই, আমার ধারণা তাকে হত্যা করা হয়েছে। কারন বাড়ী ছাড়া ২ কিলোমিটার দুরে এসে কেন আত্মাহত্যা করবে? আমরা চাই সঠিক তদন্ত করে হত্যকারীর বিচার করা হোক ।
এ বিষয়ে তাউসের স্ত্রী জানান, আমার স্বামীর প্রায় ৪ বছর ধরে পাশের গ্রামের এক গৃহবধুর সাথে পরকীয়া সর্ম্পক চলছিলো। সে আমার স্বামীকে প্রায় সময় ফোন করে ডাকতো। গতকাল আমার স্বামী সন্ধ্যায় বাড়িতে আসলে কে যেন ফোন দেয়, ফোন পেয়ে সে বাড়ির বাইরে চলে যায়, আর ফিরে আসেনি। আমার ধারনা ঐ মেয়ে পরিকল্পিত ভাবে সব করেছে। শুক্রবার সকালে তাউসের মরদেহ গাছে ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ নিহত তাউসের লাশ উদ্ধার করে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আরিফুর রহমান জানান, বাড়ির পাশের মাঠের মধ্যে একটি গাছে দাউদ হোসেনের মরদেহ ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ মুহূর্তে তা বলা যাচ্ছে না। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।