কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রাম থেকে গত শুক্রবার গভীর রাতে ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ রতন শেখের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পুলিশ চাদার দাবীতে অপহৃত ফারুক(২১) কে উদ্ধার করে।
এসময় ৩ চাদাবাজ সবুজ আহম্মদ(২৫), সোহাগ রানা(২৩) ও শিমুল আহম্মদ(২২) কে আটক করে। তাদের কাছে থেকে বিকাশ ব্যবহিত ২ টি সিম একটি মোবাইল ও নগদ ৯ হাজার ৯ শত টাকা জব্দ করা হয়।
ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ রতন শেখ জানান, গত ৬ই জুলাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার বালিয়াদিঘী গ্রামের মজলুর রহমানের ছেলে ফারুককে সুকৌশলে ডেকে নিয়ে ৭০ হাজার টাকা চাদার দাবী করে চাদাবাজরা।
ফারুক কে পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামে শাজাহান আলীর ছেলে সবুজ আহম্মদের বাড়ির পাশে হাত পা বেধে চরম নির্যাতন ও মারধোর করে তার নিকট ৭০ হাজার টাকার চাদার দাবী করে। এসময় অপহৃত ফারুক তার ভাই সাইফুল ইসলামকে মোবাইল ফোনে জানায় তাকে চাদা দাবীতে অপহরণ করা হয়েছে। ৭০ হাজার টাকা চাঁদাবাজদের চাঁদা দিলে সে ছাড়া পাবে। একথা অপহৃত ফারুকের ভাই সাইফুল ইসলাম ১ নং আসামী সবুজ আহম্মদের ব্যবহিত ০১৭৩৭-৫১৫১৫৬ নাম্বারে ১ম কিস্তির ১০হাজার টাকা বিকাশ করে।
এই খবর পেয়ে ফারুকের পরিবার পরিজন গত ৭ তারিখ রাতে ইবি থানা পুলিশ কে জানালে ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ রতন শেখ কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকীর দিক নির্দেশনায় চাঁদাবাজদের মোবাইল ট্র্যাকিং করে পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে সবুজ(২৫) ও একই গ্রামের মতিয়ার রহমানের সোহাগ রানা(২৩) এবং ঝিনাইদাহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার হরিয়ারঘাট মুরাদ আলীর ছেলে শিমুল আহম্মদ(২২) কে আটক করে। আটককৃতদের কাছে থেকে অপহৃত ফারুককে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ইবি থানায় একটি মামলা হয়েছে। যার মামলা নং-০৪, তারিখঃ ০৭/০৭/২০১৮।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিজ্ঞ আদালতে ভিক্টিমের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি চলছিল। ইবি থানার এস আই রেজাউল জানান, মামলার বাদীর ছোট বোনের দেবর ফারুক হোসেন(২১) পিতা মাজলুর রহমান এর সাথে দীর্ঘ ৩-৪ বছর ঝাউদিয়া মালিথাপাড়া গ্রামের এক গৃহবধূর সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ই জুলাই ফারুক তার বড় বোন হাসিনা খাতুন স্বামী তমেজ উদ্দিন সাং-হরিনারায়ণপুর শিবপুর বেড়াতে আসে।
গত ৬ই জুলাই বিকাল ৫ টায় বাদীর বোনের দেবর ফারুককে সুকৌশলে ঝাউদিয়ার ঐ গৃহবধূর মাধ্যমে সবুজ আহম্মদ, ফারুক, সোহাগ রানা ফারুককে জোর করে আব্দালপুর তার বাড়ির পিছনে নিয়ে হাত পা বেধে চরম মারধোর করে ৭০ হাজার টাকার চাঁদা দাবী করে। এলাকাবাসী এই ঘটনায় জড়িতদের কঠিন বিচারের দাবী জানিয়েছেন।