কুষ্টিয়া-খুলনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের খানাখন্দ কয়েক দিন আগে ইট-বালি দিয়ে ভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু এসব ইট উঠে গয়ে এখন ওই রাস্তায় যান চলাচলে আরও বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এসব সড়ক মহাসড়কের মজমপুর থেকে বারখাদা ত্রিমোহনী পর্যন্ত ৬কিলোমিটার সড়কে ৯টি গাড়ী এক দিনেই এক্সেল ভেঙে বিকল হয়েছে।
এর মধ্যে মজমপুর বনানী সিনেমাহল গলির সামনে বালি বোঝাই ট্রাক, মজমপুর বাসষ্ট্যান্ডের সামনে গরু বোঝাই ট্রাক, জুগিয়া পাথরগাদির মোড়ে একটি যাত্রীবাহী বাস, মাদারসা পুকুরের সন্নিকটে একটি বাস, বারখাদা ত্রিমোহনী এলাকার হিসাব উদ্দিনের উডল্যান্ডের সামনের অংশে চারটি এবং এছাড়া
ভেড়ামারা সড়কের অংশে আরও বেশ কিছু গাড়ি বিকল হয়।এসব গাড়িগুলো রাস্তায় পড়ে থাকায় দীর্ঘ যানজট বেঁধে যায়।ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। এটি গত বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সকালের চিত্র। তবে এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই।
বারখাদা ত্রিমোহনী এলাকার হিসাব উদ্দিনের উডল্যান্ডের সামনের অংশে প্রতিনিয়ত কয়েটি গাড়ী বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আর সেখানকার সড়কের অবস্থায় মুলত ভীষণ খারাপ। একেবারেই চলাচলের অযোগ্য। উডল্যান্ড কারখানার সামনের ৫শ মিটার চলাচলক করতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পতিত হয়, ইজিবাইক, সিএনজি, নসিমন সহ ট্রাক-বাস। অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, সেই কারখানার সামনে প্রতিদিন সকালে ১০-১৫টি গাছের গুড়ি বোঝাই ট্রাক দাঁড়ানোর ফলেই সড়কের এমন বেহালদশায় পরিণত হয়েছে।
সেখানকার বিকল হওয়া যানবাহন অপসারণ করতে কতে সময় লেগে যায়। একটা অপসারন করতে না করতেই আরেকটি বিকল হয়ে মুখ থুবড়ে সড়কের উপর পড়ে থাকে। এসব সড়ক দিয়ে পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যান চলাচলের করে থাকে। কুষ্টিয়ায় রেকার (যানবাহন উত্তোলনকারী বিশেষ যান) ব্যবহার করে বিকল যানবাহনগুলো সরিয়ে নেওয়া হলে অন্তত জানযট কমতো।
রেকার না থাকার ফলে ওই সব এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে।
কয়েকবছর ধরে এসব সড়কে ভোগান্তি চলছে। এখন সেই ভোগান্তি অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
খোদ সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর বলছে, ৪৬ কিলোমিটারের মধ্যে ৩০ কিলোমিটারের অবস্থা শোচনীয়। এর মধ্যে প্রায় ১৩ কিলোমিটার অংশ ‘পুরোপুরি বিধ্বস্ত’ হয়ে পড়েছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো: রফিকুল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়া সীমান্তে ৪৬ কিলোমিটারের মধ্যে ২৬ কিলোমিটার সড়ক আগামী মাসেই সংস্কারে কাজ শুরু হবে।