ভুক্তভোগীরা বাড়ী ছাড়া ও আবারো মারার হুমকী
কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রাইডাঙ্গা গ্রামে গতকাল সন্ধ্যায় রিমা (৩০) নামক এক গৃহবধুকে যৌতুকের দাবীতে অমানসিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। বর্তমানে আহত গৃহবধু কুমারখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমার শ্বশুর সিরাজ, শ্বাশুরী রিনা খাতুন, ভাসুর রানা, মামা শ্বশুর মন্টু, পিতা: জুলমত আলী মাঝে মাঝেই যৌতুকের দাবীতে আমার উপর নির্যাতন করে। গত শনিবার সন্ধ্যার সময় যৌতুকের কথা বললে আমি বলি আমার পরিবার যৌতুকের টাকা দিতে পারবে না। সে সময় অতর্কিত ভাবে শ্বাশুরী রিনা খাতুন, শ্বশুর সিরাজ ও ভাসুর রানা আমাকে কিল ঘুষি ও লাথি মারে ও পেট পাড়ায়। তারা আমাকে বলে এমন জায়গা মারবো তুই যাতে কাউকে দেখাতে না পারিস। এই অসুস্থ্য অবস্থায় আমি কয়া পুলিশ ক্যাম্পে যায়। ক্যাম্পের পুলিশ জানায়, আপনি বাড়ী ফিরে যান। আজ ২৭ শে রমজানের রাত। আগামীকাল যাবো। আমি বাড়ীতে গেলে তারা আমাকে আবারো মারধর করে। আমি মার খেয়ে পূনরায় পুলিশ ক্যাম্পে গেলে আমার মামা শ্বশুর কয়া রাইডাঙ্গা গ্রামের জুলমত আলীর ছেলে মন্টু আমাকে গলা চেপে ধরে হত্যা করতে যায় এবং আমাকে মারধর করে। আমি অসুস্থ্য হলে স্থানীয় লোকজন আমাকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তারা আমাকে মামলা না করার জন্য বিভিন্ন হুমকী দিচ্ছে এবং পাশেই আমার ভাইদের বাড়ী হওয়ায় তাদেরকে মারার হুমকী দিয়েছে। আমার ভাই রেহেদ, মজনু, বজলু, খসরু, তরুন, কিরন সবাইকে হত্যা করবে বলে হুমকী প্রদান করে। বর্তমানে আমার ভাইয়েরা বাড়ী ছাড়া রয়েছে।
ভুক্তভোগী গৃহবধু আরো জানায় আমার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন আমার স্বামীকে বাড়িতে আটকে রেখেছে। বাড়ী থেকে তাকে বেড় হতে দিচ্ছে না। আমার শ্বশুর সিরাজ ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্র দাসা দিয়ে আমার ভাইদের বাড়িতে হত্যা করতে যায়। আমার শ্বশুর সিরাজ বাদী হয়ে আমার ভাইদের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় উল্টো অভিযোগ দিয়েছে। সিরাজ গ্রুপ প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এলাকার কেউ কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না। আমি কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের নিকট আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানাচ্ছি।