চাকূরী থেকে অবসর নিলেও এখনো ছাড়েনি শিক্ষার্থীদের। আলোকিত মানুষ নাছির মাস্টার শিক্ষার্থীদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘুরে বেড়ান আলোকিত মানুষ খোঁজেন বই পড়ার অভ্যাস করার জন্য। চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণের পর অবসরে সবটুকু টাকা দিয়ে নিজের বাড়িতে গড়ে তুলেছেন একটি পাঠাগার ও শিক্ষার্থীদের জন্য সুন্দর শিশু বান্ধব শিক্ষনীয় কুলসুম শিশু পার্ক ও পাঠাগার।
তিনি নিজ স্ত্রীর নাম এই পাঠাগারটি নামকরণ করেছেন কুলসুম নেছা পাঠাগার। ওই পাঠাগারের প্রায় দুই শতাধিক বই ফেরী করে নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার কুমারখালী জেএন স্কুলের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শাখার শিক্ষার্থীদের বই পড়ার অভ্যাস উদ্বুদ্ধকরণ কাজ পরিচালনা করেন। এছাড়া প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এই বই পড়ায় জে এন স্কুলের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীরা বই।তার সংগ্রহশালায় রয়েছে কুমারখালী উপজেলার সকল প্রান্ত থেকে যত মনীষী মহামানব এবং কবি লেখক সাহিত্যিক সাংবাদিক তাদের জীবন বৃত্তান্ত সহ নাম লেখা, সেগুলো শিক্ষার্থীদের জানান।
সাংস্কৃতিক কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বিপ্লবী বাঘা যতীনের বাড়ির পাশেই নাসির মাস্টারের বাড়ি। গড়াই নদীর ধারে পল্লীতে গড়ে ওঠা নাসির মাস্টারের সেই কুলছুম নেছা পাঠাগার ও শিশু পার্কটি যেন দাঁড়িয়ে আছে শিক্ষানুরাগী মানুষের এক বিচরণ ভূমিতে পরিণত হতে। শিশু শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের বিকাশে সকল প্রস্তুতি রয়েছে উক্ত শিশু পাঠাগারে।
এখন উপজেলার প্রতিটি শিশুকে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে এবং শিক্ষার্থীদের পাঠভ্যাস বাড়াতে প্রতিটি স্কুলে তিনি ভ্যানে করে তার কুলছুম নেছা পাঠাগারের সকল বই নিয়ে পাঠভ্যাস করার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরছে সকলের পরিচিত আলোকিত মানুষ নাসির স্যার।