করোনাভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে রেড জোন ঘোষিত কুষ্টিয়া ও ভেড়ামারা শহরের ২১টি এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। আজ কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন শেষ হল।
তবে বিগত দিন লকডাউন ঢিলে ঢালা ভাবে চললেও আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে লকডাউন পুরোপুরি কার্যকরী হয়েছে। এসব এলাকায় ২১ দিন এ লকডাউন চলবে। সকাল থেকে দুই শহরের প্রবেশ মুখে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লোকাল বাস সার্ভিস।
এছাড়া অটোরিক্সা ও থ্রিহুইলারসহ অন্যান্য যানবানও চলাচলও বন্ধ রয়েছে। তবে নিত্য পণ্যের দোকান বিকাল ৪টার পর খোলা রাখা যাবে না। এছাড়া সরকারী বেসরকারী অফিস ও নিত্য প্রয়োজনী দ্রব্যের দোকান ছাড়া সব ধরণেল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখা হয়েছে। লকডাউন কার্যক্রর করতে দুই শহরের বিপুল পরিমান পুলিশ কাজ করছে।
আজ জেলা প্রশাসন, কুষ্টিয়ার বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ ২৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর বাড়ি লক-ডাউন করেছেন। একজন ব্যক্তি করোনায় মারা যাওয়ায় তার দাফনকাজ সম্পন্ন করেছেন। করোনা আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। ১৬ টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে ৩৮ টি মামলায় ৩৮ জনকে ৪৪,৫০০ টাকার অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন।
ভেড়ামারা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে কোদালিয়াপাড়ার রবেলা মোড়ের ওয়ার্কশপ ও মুদি দোকান চালু রাখার দায়ে দু’জনকে ৭০০০(সাত হাজার) টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এদিকে জেলায় আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪৯৭ জন মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬ জন আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২৭ জন রোগী।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া ও ভেড়ামারা পৌরসভা এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বুধবার দুপুরে জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির এক জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ২৫ জুন বৃহস্পতিবার ভোর ০৬.০০ টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কুষ্টিয়া পৌরসভার মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যেমন মুদি, কাঁচামাল, ওষুধ, মোবাইল ব্যাংকিং, মোবাইল রিচার্জ, পশুখাদ্য, মৎস্য খাদ্য, সার-বীজ, কীটনাশকের দোকান ছাড়া অন্য সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বিকেল ০৪.০০ টার মধ্যেই বন্ধ করতে হবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কৃষিপণ্য ও রপ্তানিমুখী পণ্য উৎপাদন, পরিবহন করা যাবে। বাকি সব কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকবে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ রাস্তায় বের হতে পারবেন না।