কুষ্টিয়ায় প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মধ্যে দিয়ে চলছে গণপরিবহন। দীর্ঘ দুই মাস আট দিন পর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আতঙ্কের মধ্যেই সোমবার সকাল থেকে কুষ্টিয়ায় ৭টি রুটে গণপরিবহণ চলাচল শুরু হয়।
কুষ্টিয়া থেকে খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, প্রাগ্রপুর, রাজশাহী, দৌলতদিয়াসহ বিভিন্ন রুটে কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে শতাধিক বাস ছেড়ে যায়। বাসের দুটি সিটের জায়গায় একজন যাত্রীকে বসানো হয়।
সরকারি নির্দেশনা না মেনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার দায়ে শ্যামলী পরিবহনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার সন্ধ্যায় শহরের মজমপুর গেটে এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সবুজ হাসান।
তিনি বলেন, ৬০ শতাংশ বৃদ্ধিসহ কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার ভাড়া ৭২০ টাকা হলেও ৮০০ টাকা আদায় করছিলো, এছাড়াও কুষ্টিয়া থেকে চট্টগ্রাম ১২০০ টাকার স্থলে আদায় করেছিলো ১৫০০ টাকা, কুষ্টিয়া থেকে কক্সবাজার ১৯২০ টাকার স্থলে ২১০০ টাকা এবং কুষ্টিয়া থেকে সিলেটের ১২০০ টাকার স্থলে ১৪০০ টাকা আদায় করছিলো।
শ্যামলী পরিবহনের চালককে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ৮০ ধারা মোতাবেক সতর্কতামূলকভাবে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইসাথে বিভিন্ন বাসে যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, গণপরিবহনে সরকারি আদেশ অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা নজরদারি করতে মাজিস্ট্রেটসহ বিআরটি কর্মকর্তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম মাঠে রয়েছে। প্রতিটি বাস কাউন্টার জীবাণুমুক্ত করার এবং তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের ব্যাবহার নিশ্চিত করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে সকালে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম অভিযান পরিচালনা করে সরকারি নির্দেশনা না মেনে একটি যাত্রীবাহী বাসে পাশাপাশি সিটে বসার অপরাধে ৪ যাত্রীকে ২হাজার ৭শ টাকা জরিমানা করে।