কুষ্টিয়ায় হটাৎ করে ডাইরিয়ার পাদূর্ভাব দেখা দিয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী ৬৯ জন রোগী ডাইরিয়ায় আক্তান্ত হয়েছে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এছাড়াও ওই ওয়ার্ডে ১২২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের চিকিৎসা সেবা দিতে কর্তব্যরত নারর্সরা হিমসিম খাচ্ছে বলে ওই ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, ডাইরিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য জন্য হাসপাতালের ৩ টি ছোট ছোট রুম ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হলেও ওই ৩ রুমেই রোগী ঢোকানোর আর কোন ব্যবস্তা নেই। যে কারনে হাসপাতালের বারান্দায়, সিঁড়ির নিচে এলোমেলো ভাবে বিছানা করে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আর সেখানে খোলা মেলা জায়গা হওয়ায় রোগী ও রোগীর সাথে আসা স্বজনদের ঠান্ডা হাওয়ায় বেশ দূর্ভোগ পোহাতে হচ্চে।
সারা বছরই ডাইরিয়ায় শিশুরা ছাড়াও সব বয়সীরা কম বেশী আক্রান্ত হয়ে থাকলেও হটাৎ করে ডাইরিয়ায় আক্রান্ত রোগী বেড়ে গেছে। গত দুদিনে তাপমাত্রার এই পরিবর্তনের কারনে এই ডাইরিয়ার পাদূর্ভাব বেড়ে গেছে ধারণা চিকিৎসকদের। এদিকে ডাইরিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের পাশাপাশি বয়োবৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও রয়েছে। আর তাদের চিকিৎসা দিতে বেশ হীমসিম খাচ্ছে নার্সরা।
ওয়ার্ডের এক নার্স জানান, দিনে ছাত্রী নার্সরা ডিউটিতে থাকলেও রাত ৮ টার পর তারা ডিউটি করেন না যে কারনে প্রায় দেড়শ রোগীকে মাত্র ২ জন নার্স সেবা দিতে গিয়ে হীমসিম খেতে হচ্ছে।
তবে মুখে খাবার স্যালাইন ও কলেরা স্যালাইনের যথেষ্ট সাফলাই থাকায় রোগীদের তা আর বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে না বলে জানান কর্তব্যরত নার্স। তবে ওয়ার্ডে কোন চিকিৎসককে দেখা যায়নি। সন্ধ্যার পর থেকে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছিল, রাতে আরো রোগীর বাড়তে পারে বলে ওই ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে।