ছাত্রীর পিতার দেয়া মামলার অভিযুক্ত আসামী সদর উপজেলার বাড়াদি এলাকার বদর শাহের ছেলে লম্পট সুজ্জলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কুষ্টিয়ায় শ্লীলতাহানির অপমান সইতে না পেরে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন বাড়াদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী ফাহিমা। এঘটনায় নিহতের পিতা সদর উপজেলার জগতি এলাকার বাসিন্দা ফারুক খান বাদি হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলায় দুই স্ত্রী ও এক সন্তানের পিতা অটোরিক্সা চালক লম্পট সুজ্জল(৪০) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার সুজ্জল একই এলাকার বদর শাহের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে যাতায়াতের পথে লম্পট সুজ্জল ফাহিমাকে উত্ত্যোক্ত করত। গত মঙ্গলবার সকালে ফাহিমা প্রতিবেশীর বাড়িতে দুধ আনতে যাওয়ার পথিমধ্যে লম্পট সুজ্জল গায়ে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। বিষয়টি বাড়িতে এসে পরিবারের লোকজনকে জানায় ফাহিমা। এরপর ফাহিমা যথারিতী স্কুলে যায়। স্কুল থেকে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মা সুফিয়া বেগম মেয়ে ফাহিমাকে ডেকে এনে লম্পট সুজ্জলের বাড়িতে গিয়ে বিচার চাইলে সুজ্জলের পরিবারের লোকজন অশ্রাব্য ভাষায় গালি-গালাজসহ চরম অপমান করে বাড়ি থেকে বেড় করে দেন। পরিবারের লোকজনসহ ফাহিমাকে এমন অপমানজনক আচরণের সামাজিক বিচার না পেয়ে সেখান থেকে দৌড়ে বাড়িতে এসে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বাড়াদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফুর রহমান জানান , ফাহিমা গতকালও স্কুলে এসেছিলেন। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তার মা এসে ডেকে নিয়ে যাওয়ার ঘন্টাখানেক পরেই শুনি ফাহিমা আত্মহত্যা করেছে। পরে জানতে পারি সুজ্জল নামের এক বখাটের শ্লীলতাহানির অপমান সইতে না পেরে আত্মত্যা করেছে। এঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্টু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
নিহত ছাত্রীর মাতা সুফিয়ার অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই লম্পট সুজ্জলের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলো তার কন্যা। সামাজিক ভাবে বিচার চেয়েও কোন ফল হয়নি। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন জানান, স্কুলছাত্রী ফাহিমা আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে ওই ছাত্রীর পিতার দেয়া মামলার অভিযুক্ত আসামী সদর উপজেলার বাড়াদি এলাকার বদর শাহের ছেলে লম্পট সুজ্জলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তে আরও জড়িত প্রমান পেলে তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।