কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মাদ্রাসার নৈশ্য প্রহরী বাবুল হোসেন (৫০) এর বিরুদ্ধে ১২ বছরের এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ২২ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ৬ টার দিকে উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কামিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম হামিদুর রহমানের পরিত্যাক্ত বাড়িতে ঘটেছে। বাবুল বাঁশগ্রাম কামিল মাদ্রাসার নৈশ্য প্রহরী ও বাঁশগ্রামের মৃত জমারত মোল্লার চরিত্রহীন বখাটে ছেলে এবং আজম মুন্সী হত্যা মামলার ২১ নম্বর আসামী।
সরজমিন গেলে প্রত্যক্ষদর্শী মুন্সী সবুর আলী জানান, সাবেক প্রিন্সিপাল রওশন হুজুরের কাছে সে সকালে দোয়া নিতে এসে হুজুরের বাড়ির পরিত্যাক্ত গোসল খানায় উলঙ্গ অবস্থায় বাবুলকে হাতেনাতে ধরে। পরে ধস্তাধস্তি করে বাবুল পালিয়ে গেলে স্থানীয় পুলিশকে সে খবর দেয়।
ধর্ষিতার মা জানান, তার মেয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তাকে প্রতিনিয়ত বাড়িতে আটকে রাখা হয়। সুযোগ পেলেই সে গেইট খুলে বাইরে চলে যায়। আজ (শুক্রবার) ভোরে সুপারি কুড়ানোর জন্য বাইরে গেলে মাদ্রাসার নাইট গার্ড বাবুল তাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কুমারখালী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, শিশুটিকে মেডিকেল টেস্টের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আসামীকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-১৩,তাং-২২/১১/২০১৯।