কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ভিজিডির দুই বস্তা চাল পাচারকালে জনগনের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়লেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অফিসের অফিস সহকারী সালমা খাতুন। এরপর ঘন্টা খানেক পরে চাল রেখে নাটকীয় ভাবে পালিয়ে যায় সালমা বানু। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলা চত্ত্বরে এই ঘটনা ঘটে।
উপস্থিত জনতা সুত্রে জানা যায়, অফিস সহকারী সালমা অফিস বন্ধ করে সাড়ে ৫ টার সময় ২ বস্তা ভিজিডির চাউল ভ্যানযোগে পাচারের সময় জনগন ও গনমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে চাউল ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অফিসের অফিস সহকারী সালমা বানু জানান, সাদিপুর ও কয়া ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট থেকে ১ বস্তা করে মোট দুই বস্তা চাল নিয়েছি।কেন নিয়েছেন,কিভাবে নিয়েছেন এমন প্রশ্ন করতেই তিনি দ্রুত পালিয়ে যান।
এবিষয়ে সাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন বলেন,আমি শুনেছি সালমা আমার নাম বলেছে তবে চাউলের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
এবিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজনীন ফেরদৌস মুঠোফোনে জানান, আমি আজ সারাদিন জেলায় ছিলাম।শুনেছি আমার অফিস সহকারী ভিজিডির চাউল পাচারকালে ধরা খেয়েছে। তবে এখনই কিছু বলতে পারছি না। আগামীকাল (বুধবার) অফিসে গেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
এবিষয়ে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান জানান, এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।তিনি আরো বলেন,ঘটনা সত্য হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।