কুষ্টিয়ায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও খরচ অনুপাতে দাম পাচ্ছে না কৃষকরা। এক জমি চাষ করতে এবার ঋণ নিতে হয়েছে দুবার। একদিকে বাড়তি ঋণের বোঝা, অন্যদিকে কম দামে ধান বেচে দুর্মূল্যের বাজারে পেশা ধরে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। সরকারি প্রণোদনা থাকলেও, এমন দামে আউশ চাষে আগ্রহ নেই কৃষকদের।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ির কৃষক হানিফ এবার, আড়াই বিঘা জমিতে চাষ করেছিলেন বোরো ধান। এনজিও থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে সার-বীজ, সেচ, কীটনাশক কিনেছেন। ধান কাটার মজুরিসহ মোট ৩৮ হাজার টাকা খরচ হয়। মন প্রতি ধান উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১২শ টাকা। বর্তমানে ধানের বাজার মুল্য ১০৪০ টাকা। এতে লোকসান হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। এই ঋণের টাকা শোধ করতে, আবারও ঋণ নিতে হচ্ছে বলে জানায় তারা।
এখন আউশ মৌসুম চলছে। এ বছর জেলায় ২৭ হাজার দু’শ হেক্টর জমিতে আউশের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে জেলা কৃষি বিভাগ। কিন্তু, সরকারি প্রণোদনা থাকলেও চাষে আগ্রহ নেই কৃষকের।
বোরো ধানের ফলন ভালো হলেও ন্যায্যমুল্য পায়নি কৃষক। দাম কম থাকায় সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতেও আগ্রহ দেখছেন না এই কর্মকর্তা। কুষ্টিয়া জেলায় এ বছর বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫ হাজার দু’শ হেক্টর। চাষ হয়েছে ৩২ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমি। তা থেকে পাওয়া গেছে দু’লাখ ১৫ হাজার টন ধান। বোরো চাষে কৃষক লাভবান হয়েছে বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক।