বিয়ের ৩ মাস না যেতেই স্বামীর ঘরে গলাই ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহনন করেছে এক তরুণী গৃহবধূ।
স্বামীর বাড়িতে যেতে না চাইলেও ওই গৃহবধূকে জোরপূর্বক তার পরিবারের লোকজন স্বামীর বাড়িতে রেখে যাওয়ার কিছুক্ষন পরই সে গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহনন করে বলে জানান দুই পরিবারের সদস্যরা।
ওই গৃহবধূর নাম জুই আক্তার ( ১৬) । সে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের দোস্তপাড়া গ্রামের জিয়ারত আলীর মেয়ে।
জানাযায়, মাত্র ৩ মাস আগে পারিবারিক ভাবেই জিয়ারত আলীর মেয়ে জুই আক্তারের বিয়ে হয় পাশের গ্রাম কবুরহাট মাদ্রাসাপাড়ার মনছের আলীর ছেলে মিঠুন ড্রাইভারের সাথে। বিয়ের পর থেকেই স্বামী মিঠুনকে অপছন্দ বলে জুই স্বামীর বাড়িতে থাকতে ছিল নারাজ। এর পরও জুইয়ের পরিবারের লোকজন তাকে জোরপূর্বক স্বামীর বাড়িতে পাঠায়। এভাবেই কেটে যায় প্রায় তিন মাস। এরই জুই স্বামীর সংসার করবে বলে আবার চলে যায় বাবার বাড়িতে।
জুই’ এর চাচী আবেদা খাতুন জানান,আজ সকাল ১০ টার দিকে আবার তার পরিবারের সদস্যরা জোরপূর্বক জুইকে তার স্বামী মিঠুনের বাড়িতে রেখে যায়। এর কিছুক্ষন পরে তারা সংবাদ পান জুই গলাই ফাঁস দিয়ে আত্মহনন করেছে। খবর পেয়ে তারা ছুটে আসেন। এসে জুই কে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
জুই এর শশুর বাড়ির লোকজন জানান, জুই কে রেখে যাওয়ার পর সে গোসল করে খাওয়া দাওয়া সেরে নিজ ঘরে যায়। শ্বশুরঘরের লোকজন ভাবছিল হয়তো জুই ঘুমিয়ে পড়েছে। এক পর্যায়ে শাশুড়ি ঘরে ঢুকে দেখেন ঘরের ডাবের সাথে ওড়না দিয়ে গলাই ফাঁস লাগানো অবস্থায় জুই ঝুলে আছে। সাথে সাথে সে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে জুইকে নামিয়ে নেন। পরে স্থানীয় চিকিৎসক নিয়ে এসে জুইকে দেখালে ওই চিকিৎসক তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।