পবিত্র মাহে রমজানে দ্রব্যমূল্যের বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর। শহরের পৌরবাজারে এই অভিযানে সকল ধরনের ফলের দাম নির্ধারিত মূল্যে রাখতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশ প্রদান করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর।
এসময় কলার আড়তে মূল্য না থাকা এবং ক্রয়ের থেকে অধিক বেশি মূল্যে কলা বিক্রির দায়ে কলার আড়ত মালিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ এর ৩৮ ধারা মোতাবেক ৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় এবং সেই সাথে ভবিষ্যতে নির্ধারিত মূল্যে কলা বিক্রি ও আড়তে মূল্য তালিকা রাখতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। একই সাথে বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটের সামনে একতা ফল ভান্ডার নামে একটি দোকানে ক্রয় মুল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে তরমুজ বিক্রি ও আড়তে মূল্য তালিকা না থাকার দায়ে আড়ত মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয় সেই সাথে আড়তে মূল্য তালিকা টাঙ্গানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচলক মোঃ সেলিমুজ্জামান জানান, নিয়মিত বাজার অভিযানের অংশ হিসেবে এই পরিচালনা করা হয়। পবিত্র মাহে রমজানকে কেন্দ্র করে কোন প্রকার পণ্যের মূল্য বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই। এই ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের কড়াভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এর পরেও যদি কোন ব্যবসায়ী বা দোকানী বাজার মুল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে কোন ধরনের পণ্য বিক্রি করার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
জেলা বাজার কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী বাজারকে অস্থিতিশীল করতে অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি করার চেষ্টা করছে। আমরা বার বার তাদের বার্তা দিয়েছি নিয়মিত বাজার মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে কোন ধরনের পন্য বিক্রির সুযোগ নেই। পাশাপাশি সব ধরনের দোকানে পণ্যের মূল্য তালিক রাখতে হবে। যারা এই নির্দেশনার বাইরে গিয়ে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে আআন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনড়ত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এসময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচলক মোঃ সেলিমুজ্জামান, জেলা বাজার কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাঃ লিঃ এর সহ-সভাপতি মোকাররম হোসেন মোয়াজ্জেম, ক্যাবের সদস্য ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।