কুষ্টিয়ায় শুরু হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০১৯। সচেতনতা, প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ দুর্যোগ মোকাবিলার সর্বোত্তম উপায়’-এ স্লোগানকে সামনে রেখে বুধবার সকালে কুষ্টিয়া ফায়ার স্টেশনে এ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন।
এসময় তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের জীবন বাঁচিয়ে তোলেন। রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মানুষকে বাঁচাতে ঝাপিয়ে পড়েছিলো। যেকোনো দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এগিয়ে যাচ্ছে। একইসাথে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা নতুন উদ্যমে সাহস, দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন,প্ল্যান পাশ না করে সুউচ্চ ভবন এই কুষ্টিয়াতে তৈরী করছে অহরহ। তাদের অনুমোদন আছে কিনা এবং অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা আছে কি না এসব বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসকে কাজ করতে হবে।অসচেতনতার কারণে বড়বড় দূর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাই সকল মানুষকে সচেতন করে তুলতে সবাইকে মিলে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, কেপিসি কুষ্টিয়ার সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অধিদপ্তরের সেবাধর্মী কাজের সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা নিশ্চিতকরণ ও জনসচেতনতা বাড়ানোই ফায়ার সার্ভিস সপ্তাহের মূল লক্ষ্য। আমরা মানবকল্যাণের সেবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকবো। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে ৬ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত নানা কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এসময় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি কুষ্টিয়ার সদস্য, স্কাউট সদস্য ও সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন।পরে অগ্নিকাণ্ডে কিভাবে অগ্নিনির্বাপক ব্যাবস্থার মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায় তা দেখানো হয়।