কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার ছেউড়িয়া এলাকায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিবেশীর রডের আঘাতে কলেজছাত্রী আহত। গুরুতর অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানান, পূর্বে থেকেই ছেউড়িয়া এলাকার কালুর সাথে ওই এলাকার মান্নানের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে দুপুরে কালুর স্ত্রী রেশমা (৩২) মান্নানের মেয়ে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী সেতু (২০) কে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে সেতু চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা এসে সেতুকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক চোখে ভ্রুতে দুইটি সেলাই দেয় এবং হাসপাতালে ভর্তি করে নেন।
আহত ছাত্রীর পিতা মান্নান জানান, ১০বছর আগে সে ছেউড়িয়া মোল্লাপাড়া কালুর বাবার কাছ থেকে জমি কিনে বাড়ি করে। এর পর থেকে কালু ও কালুর স্ত্রী রেশমা (৩২) মান্নানের পরিবারের উপর বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করতে থাকে। আজ দুপুরে আমার দুই মেয়ে বাসায় একা ছিল। ছোট মেয়ে অসুস্থ বড় মেয়ে সেতু ছোট মেয়ের মাথায় পানি ঢালছিল এমন সময় কালুর স্ত্রী রেসমা গেটের সামনে এসে ধাক্কা ধাক্কি করতে থাকে। তখন সেতু নিষেধ করলে রেশমা সেতুকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় আশপাশের লোকজন ছুটে এলে রেশমা পালিয়ে যায়।
মান্নান জানান, আমরা বাঁধ বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করেছি। আমার মেয়ের কপালে দুই সেলাই দেওয়া হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি বলে কৌশল খাটিয়ে রেশমাও অসুস্থতার ভান করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।