মাত্র ৯ বছর ৩ মাস বয়সী মানুষিক প্রতিবন্ধি শান্ত নামের এক শিশুপুত্রের অস্বাভাবিক পরিবেশ অশান্ত করা আচরনে অতিষ্ঠ হয়ে হতদরিদ্র পিতা-মাতা রাষ্ট্রীয় খরচে শান্তর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক, নতুবা তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে হত্যার অনুমতি চেয়েছে।
শিশুটির বাড়ী কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ছাতিয়ান কালিতলা নামক গ্রামে। পিতার নাম জসিম উদ্দিন।
আর দশটি নবজাতকের মতো শান্তও স্বাভাবিক শিশু হিসাবে জন্ম নেয়। প্রথম সন্তান ও শান্ত প্রকৃতির হওয়ায় বাবা-মা শখ করে নাম রাখেন শান্ত। জাগতিক পাপ স্পর্স করার আগেই সেই শান্তই এখণ আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে রুপ নিয়েছে।
শান্তর বয়স যখন ৩, তখন থেকেই অস্বাবিক আচরন শুরু করে সে। শান্তর দিনমজুর পিতা তাঁর সামর্থের সবটুকু দিয়ে স্থানীয়ভাবে ডাক্তার, কবিরাজ,পানিপড়া,তাবিজ-কবজ দিয়ে প্রিয় সন্তানকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করে। তাতেও আশানুরুপ কাজ না হওয়ায় কয়েকদফা পাবনা ও রাজশাহীতে মানুষিক চিকিৎসা করিয়ে কিছুটা উন্নতি হলেও অর্থাভাবে প্রায় ৫ বছর চিকিৎসাহীনতায় শিশু শান্তর পাগলামী মাত্রা ছেড়েছে।
একটু সুযোগ পেলেই প্রতিবেশিদের বাড়ীতে ইট,পাটকেল নিক্ষেপ ছাড়াও মল,মুত্র থেকে শুরু করে সকল নিকৃষ্ট খাবার খেতে থাকে। এ জন্য প্রতিরাতে ঘুমের ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা ছাড়া ২৪ ঘন্টার ১৫/১৬ ঘন্টা শিকল/দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয় শান্তকে।
এভাবেই চলছে গত ৫ বছরের অধিক সময়। ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে দিলেও আর আগের মতো এ্যাকশন করেনা। রাতে ঘুমের ঔষধ খাবার পর প্রায় গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে প্রতিবেশিদের বাড়ীতে ইট পাটকেল মেরে ভাংচুর চালায়।
শান্তর কারনে প্রতিবেশিদের শিশু সন্তানদের নিয়ে তাদের বাবা মারা সীমাহীন দুশ্চিন্তায় থাকেন। আবার বাড়ীতে নিয়ে আসলে চরম শোর চিৎকারে বাড়ীসহ আশপাশ এলাকা শব্দ দুষনে অশান্ত হয়ে ওঠে।
যার ফলে প্রায় রাতেই নিজের ও প্রতিবেশিদের কথা চিন্তা করে শান্তকে গভীর রাতে বাড়ীর অদুরে নির্জন বাঁশ বাগানে একাকী বেঁধে রাখা হয়। শুধু কি তাই শান্তর আপন ৭ মাসের ছোট ভাইকেও শান্ত ৪ দফা হত্যা করার চেষ্টা করেছে বলে শান্তর বাবা ও প্রতিবেশিরা জানিয়েছে।