বেতন ভাতাদী ও পেনশন গ্রাচুইটি সরকারী কোষাগার থেকে প্রাপ্তির দাবীতে কুষ্টিয়ায় পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি
সোমবার সকালে কুষ্টিয়া পৌরসভা এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের আয়োজনে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতাদী ও পেনশন গ্রাচুইটি সরকারী কোষাগার থেকে প্রাপ্তির দাবীতে কর্মবিরতী পালন করা হয়েছে। পরে পৌর চত্তরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এক দেশে দুই নীতি মানি না মানবো না। এই স্লোগানকে সামনে রেখে কুষ্টিয়া পৌরসভা এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম ছারয়ার’র সভাপতিত্বে বাংলাদেশ পৌর সার্ভিস এসোসিয়েশনের কেন্দ্রিয় কমিটির উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছে। অথচ দীর্ঘদিন আন্দোলন করেও ৩২৮টি পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এমনকি ১ হতে ৫৭ মাস পর্যন্ত বেতন না পেয়ে অনাহারে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন-যাপন করছে। অথচ এই পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৌরবাসীর সেবা প্রদান করে আসছে। তিনি আরোও বলেন, ৩২৮টি পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২০১৮ সাল পর্যন্ত সাতশত বিরানব্বই কোটি টাকা বকেয়া আছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্র সৈনিকদেরকে সরকারী নীতির পরিবর্তন করার আহবান জানান।
তিনি বলেন, আমাদের ঐক্য ও আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। লক্ষ্য সুনিশ্চিত করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে কারন আমাদের পরিবারকে বাঁচানোর জন্য।
এসময় বক্তব্য রাখেন পৌর সার্ভিস এসোসিয়েশন’র কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি আমান উল্লাহ, কুষ্টিয়া জেলা এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, কুষ্টিয়া পৌরসভা এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক, সদস্য মজিরব রহমান, শরিফুল ইসলাম, কাজল হোসেন, আরিফ হোসেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার কর্মকতা-কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন প্রচার সম্পাদক বিকাশ কুমার ঘোষ।
উল্লেখ্য আগামী ২ জুলাই কুষ্টিয়া জেলার পাঁচটি পৌরসভার সার্ভিস এসোসিয়েনের নেতৃবৃন্দ কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবে ও মিছিল করে পৌর বিজয় উল্লাস চত্বরে অলোচনা সভা অনুুুষ্ঠিত হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি